Fake Arms License: ভুয়ো লাইসেন্সে অস্ত্র কেনাবেচা! CID-র জালে চক্রের মূল পাণ্ডা-সহ ৬
এ যেন সর্ষের মধ্যে ভূত!
নিজস্ব প্রতিবেদন: এ যেন সর্ষের মধ্যে ভূত! 'ভুয়ো লাইসেন্স' (Fake license) দেখিয়ে চলছে আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা। কারা কিনছেন? কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীরা। পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা একযোগে অভিযোগ চালাল সিআইডি (CID)-র ‘স্পেশাল অপারেশনাল গ্রুপ’। গ্রেফতার করা হল চক্রের মূল পাণ্ডা-সহ ৬ জনকে। উদ্ধার হল এ রাজ্য ও ভিনরাজ্যের সিল, ৫ জাল লাইন্সেস ও ৫ বন্দুক, এমনকী গুলিও।
কীভাবে এই ভুয়ো লাইসেন্স চক্রের হদিশ মিলল? সিআইডি সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে সল্টলেকের এডি ব্লকে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার অফিসে হানা দেন গোয়েন্দারা। ভুয়ো লাইসেন্স রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এক নিরাপত্তারক্ষীকে। এরপর বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের আধিকারিকরা। চক্রের মূল পাণ্ডা সফিক মোল্লা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির হরিণডাঙা এলাকায় বাসিন্দা সে। বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকের সই জাল করে ভুয়ো লাইসেন্স তৈরি করত সফিক ও তার সঙ্গী। তাদের কাছ থেকে সেই লাইসেন্স কিনত কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীরা। তদন্তকারীদের অনুমান, নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদের অস্ত্র পেতেও সাহায্য করত সফিক।
আরও পড়ুন: KMC Election: আগামি ৫ বছরে কোন পথে শহরের উন্নয়ন? শনিবার ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের
এর আগে ২০১৯ সালে পুরুলিয়ায় একটি অস্ত্র উদ্ধারের তদন্তেও কিন্তু ভুয়ো লাইসেন্স চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। তদন্তে উঠেছিল, পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় থানা থেকে চুরি হওয়ার ভুয়ো লাইন্সেস বানিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় ১৮টি অস্ত্র! তাও আবার ভিনরাজ্যে! তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এভাবে যদি দুষ্কৃতীদের হাতে অস্ত্র পৌছে যায় এবং সেই অস্ত্র ব্যবহার করে কোনও অপরাধমূলক কাজ করা হয়, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের সন্ধান পেতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: নজরে দার্জিলিং, চলতি মাসেই শৈলশহর সফরে যাবেন মমতা
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় আবার বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিস। স্থানীয় দক্ষিণ ভোমরা গ্রামে কামারশালা আড়ালে চলছিল অস্ত্রের কারবার! গ্রেফতার করা হয়েছে কারখানার মালিককে। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র।