সাতসকালে মধ্য কলকাতায় সোনার দোকানে আগুন, ছড়াল আতঙ্ক
আবারও আগুনের আতঙ্ক কলকাতার বুকে। মধ্য কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা বউবাজার। মেট্রো বিপর্যয়ের কারনে এর আগেও একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে এই এলাকা, এবারের ঘটনাস্থল বউবাজার থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বের বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। সাতসকালে বউবাজারের মত ঘিঞ্জি এলাকায় এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে বউবাজারের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:আবারও আগুন আতঙ্ক কলকাতার বুকে। বুধবার সাতসকালে মধ্য কলকাতার বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি গয়নার দোকানে আগুন লাগে। স্বাভাবিকভাবেই আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশংকাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এর আগে বউবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল শহরের নিরাপত্তা। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ঘটনা আরও একবার প্রমান করে দিল এর পূর্বে শহরে বহু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও তাতে বিন্দুমাত্র হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। তবে বুধবারের এই ঘটনায় হতাহত হওয়ার কোন খবর মেলেনি।
মধ্য কলকাতার অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা বউবাজার। মেট্রো বিপর্যয়ের কারনে এর আগেও একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে বউবাজার। বুধবারের আগেও অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বউবাজার। এবারের ঘটনাস্থল বউবাজার থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বের বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। সাতসকালে বউবাজারের মত ঘিঞ্জি এলাকায় এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে বউবাজারের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিনও। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রনে আসে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের আগুন। তবে ঘরপোড়া গরু যেমন সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায় তেমনি বুধবার সকালের ঘটনার পর ১৮৯ নং বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাসিন্দাদের মনে পড়ে যাচ্ছে বছর তিনেক আগে বড়বাজারে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনার কথা। সেই ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই বেশি ছিল যে দমকলের প্রায় কুড়িটি ইঞ্জিনকে ছুটে যেতে হয়। সেবার মাঝরাতে মাঠে নামতে হয় দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকেও। কিন্তু তারপরেও টনক নড়েনি প্রশাসনের।
কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে জানান বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের মত ঘিঞ্জি এলাকাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যথেষ্ট চিন্তার। এই অঞ্চলে প্রচুর সোনার দোকানে কারিগররা সঠিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়ায় কাজ করেন। ফলে যে কোন সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে। তাছাড়াও তাঁর বক্তব্য সোনার দোকানগুলিতে থেকে বিভিন্নভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশও। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি দোকানে মজুত প্রচুর দাহ্য পদার্থ। যা থেকে যে কোন সময় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটার আশংকা করছেন তিনি। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন সঠিক সময়ে পৌঁছে যাওয়ায় বড়সড় বিপদ এড়ানো গেছে বলেই মনে করছেন তিনি। তবে বুধবারে মধ্য কলকাতার বুকে এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল প্রশাসনের ব্যর্থতা।