নিজস্ব প্রতিবেদন: সমন্বয়ের অভাব না ভুল বোঝাবুঝি? সেটাই যেন প্রকট হয়ে পড়লো সোমবার। ব্রাজিল থেকে ফিরেছেন প্রশান্ত কুমার সিং। লাগেজ নিয়ে  ঘুরে বেড়াচ্ছেন বেলেঘাটা আইডি-র ইমার্জেন্সি থেকে প্রিন্সিপল অফিস, সেখান থেকে ওয়ার্ড। হেলদোল দেখা গেল না বেলাঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাতসকালে অ্যাম্বুলেন্সে রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন  সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছিল প্রশান্তবাবুকে। কাশি শুরু হওয়ার কারণে নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে তাঁকে জানানো হয়। এরপর নমুনা পরীক্ষার জন্য বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ইমার্জেন্সির সামনে নামিয়ে দিয়ে যায় ওই অ্যাম্বুলেন্স। 


বেলেঘাটা আইডির ইমার্জেন্সির কাছে এলে প্রশান্তবাবুকেই প্রশ্ন করা হয়, আপনি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে এসেছেন কেন? প্রশান্তবাবু কাগজপত্র দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁকে এখানে পাঠানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষার জন্য। ইমার্জেন্সির চিকিত্সকরা কোনও কর্ণপাত না করে বলে দেয় অফিসে যোগাযোগ করার জন্য। অগত্যা, প্রশান্তবাবু যান প্রিন্সিপল এবং সুপারের অফিসে। সেখান থেকে তাঁকে ফের পাঠানো হয় ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে। এভাবেই লাগেজ নিয়ে অসুস্থ প্রশান্তবাবু ঘুরপাক খাচ্ছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভিতরে। 


আরও পড়ুন- যে কোনও ATM-এ টাকা তোলা, মিনিমাম ব্যালেন্স না থাকলে চার্জ নয়: নির্মলা


গোটা বিষয়টি রাজারহাট কোয়ারান্টাইন সেন্টারে মেডিক্যাল অফিসারকে ফোন করে জানান প্রশান্তবাবু। তাঁদের কিছু করার নেই বলে ফোন কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রশান্ত বাবুর কথায়, 'এর থেকে ব্রাজিলে থাকলে আমি অনেক ভালো চিকিত্সা পেতাম।' 


প্রশান্তবাবুর বাড়ি অসমের শিব সাগরে। ব্রাজিলের  একটি প্রমোদতরীতে তিনি কাজ করেন। ব্রাজিলে একের পর এক নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনেই তিনি দেশে ফিরে আসেন। ২০ মার্চ দমদম এয়ারপোর্টে নামার পরই তাঁকে বেলেঘাটা আই ডি তে আনা হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।  সেই সেন্টার থেকে সোমবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। স্বেচ্ছায় চিকিত্সা করাতে এসে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে প্রশান্তবাবুর অভিযোগ। তবে শেষমেশ রাতে তাঁকে বেলেঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।  এ প্রসঙ্গে বেলেঘাটা আই ডি র এক আধিকারিক বলেন, আমাদের কাছে সমস্যা নিয়ে ওই ব্যক্তি এসেছিলেন। তবে, জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।