নান্টু হাজরা: নতুন প্রতারণা চক্রের হদিশ। দিনের পর দিন অভিযুক্তের থেকে মোবাইলের অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া টাকা ভাঙিয়ে দিয়ে বিপদে ব্যবসায়ী। স্থানীয়দের হাতে আটক এক। নিউটাউন থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই যুবককে। এই ঘটনা ঘটেছে নিউ টাউনের প্রমোদগড় এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রমোদগড়ের বাসিন্দা সুজন মজুমদারের একটি মোবাইলের দোকান রয়েছে। সুজন মজুমদারের দাবি ধৃত যুবক প্রায়ই তার দোকানে আসেন। দোকানে এসে কখনও ২০০০ টাকা আবার কখনও ৫০০০ টাকা লাগবে বলে জানান তিনি। দোকানে অ্যাপের মাধ্যমে টাকা দিয়ে দোকান মালিকের কাছ থেকে ক্যাশ টাকা নেওয়ার আবেদন জানায় সে। জানা যায় এই বক্তব্যে রাজি হন দোকান মালিক।


তিনি প্রায়ই ওই যুবককে ক্যাশ টাকা পাঠিয়ে অনলাইনে টাকা নিয়ে নেন। তার দোকান বন্ধ থাকলে আশেপাশে দোকান থেকেও এইভাবে টাকা ভাঙিয়ে নিত যুবক এমনটাই জানা গিয়েছে।


কিছুদিন পর দেখা যায় যে নিজের ব্যাংকের কোনও লেনদেন করতে পারছেন না সুজন মজুমদার। এরপরেই ব্যাংকে যোগাযোগ করেন তিনি। ব্যাংকে গিয়ে জানা যায় যে তার একাউন্ট খালি করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের আধিকারিক জানায় চিটফান্ড অথবা ফ্রড জাতীয় কিছু একটা করেন তিনি এবং সেই জন্য তাঁর নামে কেস হয়েছে।


আরও পড়ুন: Naushad Siddiqui: নওশাদের জেলমুক্তি! ৪০ দিন পর ছাড়া পেলেন ISF বিধায়ক


জামুরিয়া থানাতে তার নামে একটি কেস হয়েছে বলে জানা যায়। এরপর থেকেই এই ব্যবসায়ী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। উদ্ধার হওয়া ডকুমেন্টসে তাঁর নাম শোয়েব খান বলে যান যায়। আরও জানা যায় সে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। সমস্ত ঘটনা জানার পর অভিযুক্ত যুবককে খুঁজছিল এলাকার মানুষ।


শনিবার সকালে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করে রেখে দেন। এরপরে নিউটন থানায় ফোন করা হলে পুলিস এসে সেই যুবককে আটক করে নিউটাউন থানায় নিয়ে যায়। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে নিউটাউন থানার পুলিস।


আরও পড়ুন: BC Roy Hospital:: ফের শিশুমৃত্যু বিসি রায় হাসপাতালে, রিপোর্টে লেখা নিউমোনিয়া


ধৃত যুবকের দাবী, ‘সুজনদার দোকান থেকে আমি স্ক্যানারের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করে ক্যাশ টাকা তুলতাম। অফিসের নির্দেশে করতাম। তারা আমাকে টাকা পাঠাতো আমি স্ক্যান করে ক্যাশ টাকা তুলতাম। আমি ওই অফিসে মাইনের ভিত্তিতে কাজ করি। আমি অফিসে যেতাম না। আমার কাজ ছিল অনলাইনে টাকা ক্যাশ করা। টাকা ক্যাশ করে তীরুদা নামে এক ব্যক্তিকে দিতাম। এই তিরুদা সবসময় অফিসের বাইরেই দেখা করতো। তিন চার বছর ধরে কলকাতাতে রয়েছি। তিন চার মাস ধরে এখানে কাজ করছি’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)