লালদুর্গ যাদবপুরের ছাত্র সংসদের ভোটে ABVP, প্রথমবার রাম বনাম বামের লড়াই
এবিভিপি প্রার্থী দিলেও সুবিধা করতে পারবে না বলে আত্মবিশ্বাসী এসএফআই নেতৃত্ব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুর মানেই বামঘাঁটি। সেই বাম ঘাঁটিতেই কিনা পদ্ম ফোটার সম্ভাবনা! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার আরও আছে। কলাবিভাগ থেকেও মনোনয়ন দাখিল করেছে এবিভিপি। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাবিভাগ ও বাম মতাদর্শ প্রায় সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছে যাদবপুরে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি যাদবপুরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন। চিরাচরিতভাবেই ওই বিশ্ববিদ্যালয় বামপন্থীদের ঘাঁটি। সাম্প্রতিককালে বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয়েছিল বিশৃঙ্খলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বাবুল। তখনই এবিভিপি-র অস্তিত্বের আভাস মিলেছিল। এবার আরও বড় চমক দিল গেরুয়া ছাত্র সংগঠন। কলা ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেন্ট্রাল প্যানেলে ও সিআর পদে মনোনয়ন পেশ করেছেন এবিভিপি প্রার্থীরা। কলা বিভাগের ৪০টি আসন ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রায় সবকটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে তারা।
এর আগে কখনও দলীয় প্রতীকে সরাসরি লড়াইয়ে নামেনি এবিভিপি। জাতীয়তাবাদী সংগঠনের আড়ালে একটি বা দুটি আসনেই লড়াই সীমাবদ্ধ থেকেছে ভোটযুদ্ধ। লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে এবার যাদবপুরেও এবার ঢুকে পড়ল গেরুয়া হাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবার কলা বিভাগ ও ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সিপি, জিএস, এজিএস ডে, এজিএস ইভিনিং-সব পদেই প্রার্থী দিয়েছে ABVP।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তাও মানা গেল, কিন্তু কলা বিভাগেও কীভাবে ABVP চ্যালেঞ্জ ছোড়ার বল পেল? ওই বিভাগে এবিভিপি-র সিপি প্রার্থী শুভদীপ কর্মকার জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে বলেন, ''যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগ মানেই বামপন্থীদের আখড়া নয়, এখানে জাতীয়তাবাদী শক্তির উত্থান হয়েছে। এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমরা খুব ভালো ফল করব।"
এবিভিপি প্রার্থী দিলেও সুবিধা করতে পারবে না বলে আত্মবিশ্বাসী এসএফআই নেতৃত্ব। দলের নেতা দেবরাজ দেবনাথের কথায়,''আমরা রুখে দেব। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গুন্ডা ও বিভাজন সৃষ্টিকারীদের কোনও জায়গা নেই।''
বলে রাখি, অতিসম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই ইউনিটে বড়সড় ভাঙন হয়েছেন। সংগঠন থেকে গণইস্তফা দেন ৩১ জন। এসএফআইয়ের শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, মানসিক নির্যাতন-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু নেতৃত্ব কর্ণপাত করেনি বলে দাবি।
আরও পড়ুন- ধর্ষণ-সহ একাধিক অভিযোগ! গণ ইস্তফায় ভোটের মুখে ধস JU-র এসএফআই-এর