নিজস্ব প্রতিবেদন: গাড়ির মধ্যে স্ত্রীকে খুন করে রাস্তার ধারে দেহ ফেলে গাড়ি নিয়ে চম্পট। রাস্তায় চলছিল পুলিসের নাকা চেকিং। পুলিসের নজর এড়াতে না পেরে শেষমেশ ধরা পড়ল স্বামী। গাড়িটি দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়ে ধাক্কাধাক্কিতে ক্ষতিগ্রস্তও হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোররাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার (Jibantala Police Station) সরবেড়িয়া বাজার এলাকায়। ধৃতের নাম শাহরুখ আহমেদ। নিহত স্ত্রীর নাম হোমা কামার (২৮)।


পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার নারকেলডাঙা মেন রোডের (narkeldanga main road) বাসিন্দা শাহরুখ আহমেদ পেশায় ফোটোগ্রাফার। রাজা রামমোহন রায় সরণির (raja ram mohan roy sarani) বাসিন্দা হোমা কামারের সঙ্গে তার বিয়ে হয় আট বছর আগে। তাঁদের ছ'বছরের এক কন্যাসন্তান আছে। বেশ কিছু দিন ধরে শাহরুখের সঙ্গে হোমার সাংসারিক অশান্তি চলছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দু'জনে গাড়ি নিয়ে বের হন। কলকাতা থেকে অনেক দূরে চলে যান তাঁরা। গাড়ির মধ্যেই হোমাকে খুন করে শাহরুখ।


কী ভাবে খুন? কেন পুলিস এত নিশ্চিত?


স্বয়ং খুনিই তো এক্ষেত্রে স্বীকার করে নিয়েছে খুনের কথা। তাই পুলিস এত নিশ্চিত। শাহরুখকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, গাড়িতেই হোমা কামারকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং পরে তাঁকে নির্মম ভাবে কোপানো হয়। এরপর প্রগতি ময়দান থানার বানতলা বাজারের কাছে বাসন্তী হাইওয়েতে দেহ ফেলে দিয়ে শাহরুখ গাড়ি নিয়ে দ্রুতগতিতে সরবেড়িয়ার দিকে রওনা দেয়।


আরও পড়ুন: Mamata-র বাড়িতে যজ্ঞে অভিষেক, পুজো করলেন জগন্নাথ দ্বৈতাপতি


সেই সময়ে সরবেড়িয়া বাজার এলাকায় নাকা চেকিং (naka checking) চলছিল। চেকিংয়ের দায়িত্বে ছিল জীবনতলা থানার ওসি প্রশান্ত দাসের নেতৃত্বে এএসআই সুরজিত হালদারের স্পেশাল টিম। সায়েন্স সিটি সাইড থেকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বেগুনি রঙের একটি গাড়িকে আসতে দেখে সেটি  আটক করে পুলিস। এর পরই পুলিসের আশ্চর্য  হওয়ার পালা। গাড়িতে রক্তের দাগ! ব্যাপার কী?


তখনই শাহরুখ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দেয় পুলিস। কথাবার্তা চলার ফাঁকে হঠাৎই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে শাহরুখ। পুলিস সঙ্গে সঙ্গে ধাওয়া করে তাকে। প্রায় ২০ কিলোমিটার গাড়ি নিয়ে দৌড়ে শাহরুখকে ধরে ও তার গাড়ি আটক করে পুলিস। এরপর পুলিসের জেরায় স্ত্রীকে খুনের সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে নেয় শাহরুখ। পুলিস শাহরুখকে তখনই গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে পরবর্তী তদন্তও শুরু করে পুলিস।


এদিকে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস বাসন্তী হাইওয়ের ধার থেকে হোমা কামারের দেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।


আরও পড়ুন: 'দলিতদের খুনিরা বনগাঁয় গিয়ে বলে, আমরা নাগরিকত্ব দেব', BJP-কে আক্রমণ ব্রাত্যর