ত্রিফলার পর কলকাতা পুরসভায় এ বার জঞ্জাল কেলেঙ্কারি
ত্রিফলার পর ফের বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারি কলকাতা পুরসভায়। পুরসভার নিকাশি ও জঞ্জাল বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিটে আশি লক্ষ টাকার দুর্নীতি সামনে এসেছে। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মীদের একাংশ যুক্ত রয়েছে বলে আশঙ্কা পুর আধিকারিকদের।
ত্রিফলার পর ফের বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারি কলকাতা পুরসভায়। পুরসভার নিকাশি ও জঞ্জাল বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিটে ৮০ লক্ষ টাকার দুর্নীতি সামনে এসেছে। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মীদের একাংশ যুক্ত রয়েছে বলে আশঙ্কা পুর আধিকারিকদের।
ত্রিফলার পর এবার জঞ্জাল। আশি লক্ষ টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি কলকাতা পুরসভায়। কাঠগড়ায় পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মীদের একাংশ। পুরসভার অভ্যন্তরীণ অডিটে সামনে এসেছে আর্থিক কেলেঙ্কারির নয়া নজির।
গরমিলের সূত্রপাত নিকাশি ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পলি তোলার ব্যবস্থা ঘিরে। পলি ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলে ধাপার মাঠে ফেলার জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে লরি ভাড়া করে কলকাতা পুরসভা। ট্রিপ পিছু টাকা পান লরির মালিকরা। প্রতিটি ট্রিপের সময় যে জায়গা থেকে লরিটি জঞ্জাল তোলে সেখানে একটি টোকেন দেওয়া হয়। বর্জ্য ধাপার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পৌঁছলে স্লিপ পান লরির চালকরা। পরে সেই স্লিপ পুরসভায় জমা দিলে বকেয়া টাকা দেওয়া হয় লরির মালিকদের। পুকুর চুরির শুরুটা এখানেই। পুরসভার অভ্যান্তরীণ অডিটে ধরা পড়েছে একাধিক বেনিয়ম।
শাশ্বতী এন্টারপ্রাইজ ও এ কে সামন্ত এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি কোম্পানির কোনও অস্তিত্ব নেই। অথচ, দুই কোম্পানির লরির নামে হাজার হাজার টাকা তোলা হয়েছে। টেকনো ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি কোম্পানির একই স্লিপ বার বার জেরক্স করিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। কোনও কোনও লরি জঞ্জাল তোলা থেকে ধাপা পৌঁছনোর কাজ সেরে ফেলেছে হয়েছে মাত্র ৪ মিনিটে।
মাসদুয়েক আগেই কিছু গরমিল নজরে আসে পুর কমিশনার খলিল আহমেদের। তারপরই অভ্যন্তরীণ অডিট করার নির্দেশ দেন তিনি। শুক্রবারই অডিট রিপোর্ট জমা পড়েছে পুরসভায়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পুরসভার বিভিন্ন দফতর ও কর্মীদের একাংশের যোগসাজশেই বছরের পর বছর এমন আর্থিক কেলেঙ্কারি চলছে। যোগসাজশ এতটাই গভীর যে পুরসভার বার্ষিক অডিটেও আশি লক্ষ টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির হদিশ মেলেনি। ত্রিফলার পর ফের একবার আর্থিক কেলেঙ্কারি সামনে আসায় রীতিমতো অস্বস্তিতে মেয়র।