আল আমিনে সাসপেন্ড চার শিক্ষিকা, কাঠগড়ায় সুলতান

একই অভিযোগে এবার দুধরনের শাস্তির অভিযোগ উঠল মিল্লি আল আমিন মিশন কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের নেতৃত্বাধীন কলেজের পরিচালন সমিতি রবিবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সহ চার শিক্ষিকাকে মারধর করার অপরাধে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও একই অপরাধে অভিযুক্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শুধু শোকজ করা হয়েছে।  সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে এর আগে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ সে কারণেই শাস্তিদানে এই বিভাজন। 

Updated By: Feb 3, 2013, 06:44 PM IST

একই অভিযোগে এবার দুধরনের শাস্তির অভিযোগ উঠল মিল্লি আল আমিন মিশন কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের নেতৃত্বাধীন কলেজের পরিচালন সমিতি রবিবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সহ চার শিক্ষিকাকে মারধর করার অপরাধে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও একই অপরাধে অভিযুক্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শুধু শোকজ করা হয়েছে।   সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে এর আগে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ সে কারণেই শাস্তিদানে এই বিভাজন। 
গত বৃহস্পতিবার মিল্লি আল আমিন কলেজের কলেজের অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দুই শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাদের মারধর করেছেন বিনা প্ররোচনায়। অন্যদিকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষও একই অভিযোগ তোলেন বৈশাখীদের বিরুদ্ধে। দু পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এমনকি স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টও থানায় জমা দেন। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের নেতৃত্বাধীন কলেজের পরিচালন কমিটি বৈঠকে বসে।  বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তিন অধ্যাপিকাকে সেদিনের ঘটনার জন্য সাসপেন্ড করা হয়।  অপর অভিযুক্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শুধুমাত্র সাসপেন্ড করা হয়।
 
কি কারণে একই অপরাধ সত্বেও শাস্তির ক্ষেত্রে এই তারতম্য সে বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন কলেজের পরিচালন সমিতির প্রধান সুলতান আহমেদের নানান কাজকর্মের বিরুদ্ধে এর আগে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন বৈশাখী সহ সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষিকারা। সেকারণেই তাদের কড়া শাস্তির মুখ্যে পড়তে হল। অন্যদিকে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদের কাছের লোক হওয়ায় তাকে লঘু শাস্তি দেওয়া হল। ক্যামেরার এবিষয়ে মুখ না খুললেও সুলতান আহমেদের দাবি-- বৈশাখীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে তাদের কাছে অনেকেই সই করা চিঠি জমা দিয়েছিলেন। সেই কারণেই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এই তারতম্য।
 
সুলতান আহমেদের এই দাবি অবশ্য অনেকেই মানতে নারাজ। প্রশ্ন উঠছে পুলিশি তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ শাস্তির সিদ্ধান্ত নিল। শুধু তাই নয়, সেক্ষেত্রে নিজেরা তদন্ত না করে শুধু মাত্র সই করা কিছু চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তবে কি শাস্তির পিছনে রয়েছে অন্য কোনও উদ্দেশ্য।     

.