করোনা রোগীর কাছে গামছা, তেল, জল পৌঁছে দিলেই মোটা টাকা, দেদার তোলাবাজি মেডিকেলে

অভিযোগ উঠেছে, অসহায়তার সুযোগ নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লক এবং গ্রিন বিল্ডিংয়ে করোনা এবং সারি উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে অকারণেই টাকা নিচ্ছেন চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা।

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Updated By: Jun 14, 2020, 05:14 PM IST
করোনা রোগীর কাছে গামছা, তেল, জল পৌঁছে দিলেই মোটা টাকা, দেদার তোলাবাজি মেডিকেলে

তন্ময় প্রামাণিক: করোনা রোগীদের পরিষেবার নামে কার্যত লুটপাট চলছে খাস শহরে। অভিযোগ, ভর্তি থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীদের কাছে জল, খাবার, কাগজপত্র পৌঁছে দিতে রীতিমতো তোলাবাজি চলছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। অভিযোগ উঠেছে, অসহায়তার সুযোগ নিয়ে হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ব্লক এবং গ্রিন বিল্ডিংয়ে করোনা এবং সারি উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে অকারণেই টাকা নিচ্ছেন চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। তাঁদের আবার রেটও বাঁধা। 

ভুক্তভোগী রোগীর পরিবারের লোকেরা বলছেন, আলাদা আলাদা কাজের জন্য আলাদা আলাদা চার্জ। জলের বোতল পৌঁছে দিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। সুপার স্পেশালিটি ব্লকে রোগীর বেডে ৫ লিটারের জলের বোতল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৫০০ টাকাও নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। 

আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ঠাকুরবাড়িতে চুরির কিনারা করল পুলিস, ধৃত ৩

এখানেই শেষ নয়, জামাকাপড়, গামছা, তোয়ালে, সাবান, তেল পৌঁছে দিতে ২০০ টাকা। মোবাইল চার্জার কিংবা অন্য প্রয়োজনীয় কিছু পৌঁছে দেওয়ার জন্য লাগছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। রোগী  কেমন আছেন? বেডে গিয়ে কথা বলে পরিবার পরীজনকে জানাতে ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে ওয়ার্ডের ভিতর দিয়ে কোভিড আক্রান্তকে বেড পর্যন্ত নিয়ে যেতে কখনও কখনও ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।

অভিযোগ পৌঁছেছে করোনা আক্রান্ত ওয়ার্ড এবং সারি ওয়ার্ডে কাজ করা চিকিৎসকদের কাছেও। অভিযোগ জানানো হয়েছে, হাসপাতাল আধিকারিকদের কাছে। সুপারের অফিসে গিয়েও রবিবার কয়েকজন রোগীর আত্মীয় অভিযোগ জানালেন যে, আর টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা তাঁদের নেই। 

এবিষয়ে মেডিকেলের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, আগামিকাল অর্থাৎ সোমবারই তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন, এবং লিখিত অভিযোগ পেলেই কড়া ব্যবস্থা নেবেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, হাসপাতালের কর্মীরা এমনটা করবেন না। চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাই এ ধরনের কাজ করেছেন বলে আশঙ্কা তাঁর।

.