Primary TET: অনলাইনে টেটে নিয়োগের আবেদন শুরু, চাকরি পাবেন কারা?
করুণাময়ীতে রাস্তা থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। ২০১৬ সালের নিয়মেই টেটে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে হবে, বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল পর্ষদ।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। করুণাময়ীতে পুলিস আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর, এবার টেটে নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া চালু হল। পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল, আজ, শুক্রবার থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। কারা আবেদন করতে পারবেন? ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নিচে।
উৎসবের মরশুমেই সুখবর পেয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। দুর্গাপুজোর চতুর্থীর দিন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শূন্যপদের সংখ্যা এগারো হাজারের কিছু বেশি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নীচে, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সঙ্গে যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এমনকী, ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে যাঁরা প্রথম সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরাও। এমনকী, আবেদন শুরুর দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Primary TET: দুর্নীতির বদলায় চাকরির দাবি! আড়াআড়ি ভাগ টেট আন্দোলনকারীরাই
এদিকে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে জারি হওয়ার পর অনশনে বসেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্থরা। কোথায়? সল্টলেকের করুণাময়ীতে পর্ষদের অফিসের সামনে। দাবি, ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরি দিতে হবে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, '২০১৬ সালের নীতি মেনেই নিয়োগ হবে। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা দু'বার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। আইন ভেঙে নিয়োগ সম্ভব নয়'। শুধু তাই নয়, কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ।
হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, '১৪৪ ধারা নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন করতে হবে রাজ্যকে। কর্মীরা যাতে অফিসে ঢুকতে পারবেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে'। এরপর মধ্যরাতে যখন করুণাময়ীতে পর্ষদের অফিসের সামনে থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিল পুলিস, তখন টেটে নিয়োগের আবেদন শুরুর বিজ্ঞপ্তি জারি করল পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হল, ২০১৬ সালের নিয়ম মেনেই আবেদন করতে হবে।
এদিকে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চ যাচ্ছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। রাতেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সচিবালয়ে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এদিন সকাল থেকে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি পাদদেশের ফের শুরু হয়েছে অবস্থান-বিক্ষোভও।