আদালত অস্বস্তির মধ্যেই কমিশনের কাজে যোগ দিলেন অশোক গাঙ্গুলি
ইস্তফা নিয়ে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে আজ কাজে যোগ দিলেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক গাঙ্গুলি। শুধু কাজে যোগ দেওয়াই নয়। একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও দিলেন।
অশোক গাঙ্গুলি ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মাঝেই ইস্তফা নিয়ে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে আজ কাজে যোগ দিলেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক গাঙ্গুলি। শুধু কাজে যোগ দেওয়াই নয়। একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও দিলেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের নেহেরু স্কুলের শিক্ষিকা শুক্লা পাঁজা নিম্নবর্ণে বিয়ে করেছিলেন। অভিযোগ তারপর থেকেই সহকর্মীদের মানসিক অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। সে বিষয়ে ২৪ ডিসেম্বর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শুক্লা দেবি। বিষয়টি নিয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জেলা স্কুল পরিদর্শককে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন অশোক গাঙ্গুলি।
অশোক গাঙ্গুলি ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্সের মাধ্যমে, পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে সরাতে উদ্যোগী করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা আটকাতেই সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন পদ্মানারায়ণ সিং নামে এক আইনজীবী। তাঁর দাবি, অশোক গাঙ্গুলিকে অপসারণের কোনও এক্তিয়ারই নেই কেন্দ্রের।
২০১২ সালের ডার্বি বিতর্কে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে রায় দেওয়াতেই অশোক গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু, পদ্মানারায়ণ সিংয়ের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর যাঁকে ঘিরে বিতর্ক সেই অশোক গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, পদ্মানারায়ণ সিংয়ের অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই। মোহনবাগান ক্লাবের বিরুদ্ধেও তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।