বিধাননগর-রাজারহাটে অবাঙলিদের কাছে টানতে মরিয়া তৃণমূল, প্রচারে নামাচ্ছে রিজওয়ানের শ্বশুর অশোক টোডিকেও
বিধাননগর-রাজারহাটে অবাঙালি সম্প্রদায়কে কাছে টানতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পুরভোটের প্রচারে নামানো হচ্ছে অবাঙালি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের। তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন তাঁরা। প্রচারের মুখ কমল গান্ধী, অশোক টোডিরা। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের হয়ে এসএমএস প্রচার শুরু হয়েছে। তিন হাজার এসএমএস পাঠানো হয়েছে অবাঙালি সম্প্রদায়ের প্রত্যেক সদস্যকে। প্রত্যেক সংসদ সদস্যের উদ্দেশে এসএমএসে লেখা হয়েছে, তাঁতিয়া হলে ২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার সকাল দশটায় সব্যসাচী দত্তের সমর্থনে সভায় অংশ নিতে। এসএমএসটি করেছেন শাসক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী পরিচিত কমল গান্ধী।
ব্যুরো: বিধাননগর-রাজারহাটে অবাঙালি সম্প্রদায়কে কাছে টানতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পুরভোটের প্রচারে নামানো হচ্ছে অবাঙালি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের। তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন তাঁরা। প্রচারের মুখ কমল গান্ধী, অশোক টোডিরা। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের হয়ে এসএমএস প্রচার শুরু হয়েছে। তিন হাজার এসএমএস পাঠানো হয়েছে অবাঙালি সম্প্রদায়ের প্রত্যেক সদস্যকে। প্রত্যেক সংসদ সদস্যের উদ্দেশে এসএমএসে লেখা হয়েছে, তাঁতিয়া হলে ২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার সকাল দশটায় সব্যসাচী দত্তের সমর্থনে সভায় অংশ নিতে। এসএমএসটি করেছেন শাসক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী পরিচিত কমল গান্ধী।
বিধাননগর-রাজারহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট প্রচারে ব্যবসায়ী অশোক টোডি। এই অশোক টোডিই প্রিয়ঙ্কা টোডির বাবা। অর্থাত্ রিজওয়ান-উর রহমানের শ্বশুর। রিজকাণ্ডে কয়েক বছর আগে অশোক টোডির বিরুদ্ধেই পথে নেমে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। রিজওয়ান-উর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এই অভিযোগে অশোক টোডিকেই কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চাপরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন রিজের দাদা রুকবান-উর রহমান। এবার অশোক টোডিই তৃণমূলের ভোট প্রচারে। অবাঙালি সম্প্রদায়কে কাছে টানতে তৃণমূলের হাতিয়ার অশোক টোডিই।অবাঙালি সম্প্রদায়কে কাছে টানতে কেন মরিয়া তৃণমূল? এর একমাত্র কারণ, গত লোকসভা ভোটের ফল। গত লোকসভা ভোটের হিসেবে সল্টলেকে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, অবাঙালিদের একটা বড় অংশ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। যদিও বিজেপির সেই দাপট নেই। তবু এবারও যদি বিজেপি লোকসভা ভোটে প্রাপ্ত ভোটের কাছাকাছি পৌছতে পারে, তাহলে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে। সে কারণেই অবাঙালি ভোট পেতে কোমর বেঁধে নামছেন তৃণমূল নেতারা। বিজেপির ভোট বাক্সে থাবা বসাতেই ব্যবসায়ীদের প্রচারে নামানোর কৌশল তৃণমূল নেতৃত্বের।