মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: ডায়াগনেস্টিক ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার রেট নির্দিষ্ট করে দেওয়া নিয়ে এবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠন। Zee ২৪ ঘণ্টার হাতে কমিশনকে পাঠানো সংগঠনের Exclusive চিঠি। যাতে কমিশনের বেঁধে দেওয়া রেট মানতে কার্যত অস্বীকার করেছে হাসপাতালগুলো। পাশাপাশি কমিশনের অর্ডার দেওয়ার ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২ জুলাই একটি অর্ডার পাশ করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন। সেই অর্ডারে ১৫০ বেশি বেড রয়েছে এমন বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য ডায়াগনেস্টিক ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার রেট নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। কমিশনের তরফে সাফ জানান হয়, এর জন্য দুটো কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ডায়াগনেস্টিক ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যা বেসকারি হাসপাতালগুলোকে মানতে হবে।


আরও পড়ুন: মহিলাদের নামে কেন ঘর ভাড়া? পার্ক হোটেলকাণ্ডে GM-কে তলব লালবাজারের


কমিশনের এই রিপোর্ট হাতে পেতেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতালগুলো। অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার (AHEI)-এর  আওতাভুক্ত কলকাতার ১৯টি বড় হাসপাতাল পাল্টা চিঠি পাঠায় কমিশনকে। যে চিঠি হাতে এসেছে Zee ২৪ ঘণ্টার। সংশ্লিষ্ট চিঠিতে কমিশনের জারি করা অর্ডারের কড়া সমালোচনা করেছে হাসপাতালের সংগঠনটি। দীর্ঘ চিঠিতে কমিশনের অর্ডার দেওয়ার এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।


এছাড়া, ২০১৭ সালের তৈরি ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার বৈধতা সরব হাসপাতালের সংগঠনটি। কেন ১৫০ বেড পর্যন্ত হাসপাতালগুলোকে ছাড়া দেওয়া হল? জানতে চেয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। একই সঙ্গে যে কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন, সেই কমিটির বিস্তারিত নথিও চেয়ে পাঠান হয়েছে। কমিশনকে পাঠানো বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের এই বিস্ফোরক চিঠিতে সই করেছেন কলকাতার ১৬টি হাসপাতালের বড় কর্তারা।


আরও পড়ুন: কেন বারবার ভিনরাজ্যে সফর? ধৃত JMB লিঙ্কম্যানের উত্তরে কার্যত অবাক গোয়েন্দারাও


হাসপাতাল সংগঠনগুলোর চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানান, শীঘ্রই হাসপাতালগুলোর সঙ্গে বসে তাঁদের কথা শোনা হবে। যদি তাঁদের কথা যুক্তিযুক্ত মনে হয়, তবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কমিশন। তবে, বেশ কয়েকটি হাসপাতাল কমিশনের বেঁধে দেওয়া রেট মানতে চাইছে না। সেক্ষেত্রে যদি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। তাহলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে কমিশন।