বাঙালির জোড়া 'নিরূদ্দেশ সঙ্কট'-বাজারে আলু অমিল, রাস্তায় বাসের দেখা নেই
আলুর দাম ও বাসভাড়া। আমজনতার স্বার্থেই দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। জোড়া সিদ্ধান্তে এখন চরম বিপাকে সেই আমজনতাই। অনড় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের আর্জি, বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিক সরকার। জনস্বার্থে আলুর দাম বেঁধে দেওয়া। মানুষের কথা ভেবে বাস ভাড়া না বাড়ানো। খাতায় কলমে সরকারি জনহিতকর এই দুই সিদ্ধান্তই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে আমজনতার ঘাড়ে।
আলুর দাম ও বাসভাড়া। আমজনতার স্বার্থেই দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। জোড়া সিদ্ধান্তে এখন চরম বিপাকে সেই আমজনতাই। অনড় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের আর্জি, বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিক সরকার। জনস্বার্থে আলুর দাম বেঁধে দেওয়া। মানুষের কথা ভেবে বাস ভাড়া না বাড়ানো। খাতায় কলমে সরকারি জনহিতকর এই দুই সিদ্ধান্তই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে আমজনতার ঘাড়ে।
আলুর দাম ১৩ টাকায় বেঁধে দেবার পর বাজার থেকে আলু উধাও। বাসভাড়া না বাড়ানোয় রাস্তা থেকে বাস উধাও। পাইকারি বাজারের দামের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক করে দেওয়া খুচরো বাজারের আলুর দামে সামঞ্জস্য নেই। ফলে লোকসান করে আলু বিক্রির চেয়ে আলু না বিক্রির সিদ্ধান্তে বিক্রেতারা। ডিজেলের দামের সঙ্গে বাসভাড়ার সামঞ্জস্য নেই। ডিজেলের দাম যখন লিটার পিছু ৪০ টাকা ছিল তখনও বাসভাড়া যা, ডিজেলের দাম যখন ৫৫ টাকা, তখনও বাসভাড়া তাই। মাঝে জ্বালানির দাম বেড়েছে ১৩ বার। শেষ বাসভাড়া বেড়েছে ২০১২র অক্টোবরে। এক বছরে জ্বালানি সহ বাস চালানোর খরচ বেড়েছে ৫ গুণ। ফলে বাস চালিয়ে লোকসান গোনার চেয়ে বাস বসিয়ে রাখাই শ্রেয় মনে করছেন বাস মালিকরা।
দুটি ক্ষেত্রেই সরাসরি হস্তক্ষেপ রয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। কৃষি বিপনন দফতরের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনিই। আবার বাসভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব রয়েছে যে মন্ত্রিগোষ্ঠীর, তারও শীর্ষে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীই। আমজনতার প্রশ্ন, তাদের নিত্যদিনের যন্ত্রণার অবসান ঘটাবে কে।