অটোতে ছেলের সামনে মায়ের শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার অভিযুক্ত চালক

মহিলার অভিযোগ, অটোচালক নানা ছুতোয় বারবারই তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছিল। সতর্ক করা সত্ত্বেও তাতে সে কান দেয়নি। গড়িয়া মোড়ে পৌঁছলে এনিয়ে চিত্‍কার চেঁচামেচি শুরু করেন মহিলা। ঘটনাস্থলে আসে পুলিসও। এরপর দুপক্ষকেই নেতাজি নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

Updated By: Feb 8, 2018, 10:39 AM IST
অটোতে ছেলের সামনে মায়ের শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার অভিযুক্ত চালক

নিজস্ব প্রতিবেদন: অটোযাত্রায় মারাত্মক অভিজ্ঞতা। ছেলের সামনে মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটে বাঁশদ্রোণী এলাকায়। চলন্ত অটোয় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। পরে থানায় গেলেও একপ্রস্থ তুলকালাম!

চলন্ত অটোয় ঠিক কী ঘটেছিল?

অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়েও শিউরে উঠছেন মহিলা। অটোয় ছেলের সামনেই তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। গড়িয়া যাবেন বলে, ঊষা থেকে অটোয় ওঠেন ওই মহিলা। চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন তিনি। অটোতে আর যে যাত্রীরা ছিলেন তাঁরা কিছুদূর গিয়ে নেমে যান। মহিলার অভিযোগ, অটোচালক নানা ছুতোয় বারবারই তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছিল। সতর্ক করা সত্ত্বেও তাতে সে কান দেয়নি। গড়িয়া মোড়ে পৌঁছলে এনিয়ে চিত্‍কার চেঁচামেচি শুরু করেন মহিলা। ঘটনাস্থলে আসে পুলিসও। এরপর দুপক্ষকেই নেতাজি নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অটো চালক ইমান আলি খানকে। ততক্ষণে থানা চত্বরে হাজির হয় রুটের অন্যান্য অটোচালকরা। অভিযোগ, মহিলা ও তাঁর ছেলে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের উদ্দেশ্য করে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ভ্যানে চড়তে গিয়েও, ভয়ে তাঁরা ফের থানায় ফিরে আসেন। শেষপর্যন্ত মহিলা ও তাঁর ছেলেকে পুলিস নিজেদের গাড়িতে বাড়ি পাঠায়।

তবে, অটো চালকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম হলেও পুলিসি তদন্তের আগেই নিজেদের চালককে নির্দোষ প্রমাণে ব্যস্ত অটো ইউনিয়ন এবং সেজন্য মহিলার গায়ে কাদা ছেটাতেও কসুর করছেন না তাঁরা! ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিতন হালদার বলেন, "এমন ঘটনা ঘটে থাকলে আমরা লজ্জিত। কিন্তু উনি (মহিলা) যা অভিযোগ দায়ের করেছেন তা মনুষ্যজাতির পক্ষ সম্ভব না। আমাদের বিশ্বাস অটোচালক এমনটা করেতেই পারে না''।

পুলিস প্রশাসনের ব্যবহারে প্রাথমিকভাবে ভরসা পেলেও অভিযোগকারিণী বিশেষভাবে চিন্তিত আগামী দিনে নিরাপত্তা নিয়ে। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই হুমকি আসছে। মহিলা তাঁর ছেলেকে নিয়েও দুশ্চিন্তা ব্যাক্ত করেছেন। কারণ, ছেলেকে রোজ ওই পথেই অটো ধরতে হয়। যদিও, অভিযোগকারিণীর ছেলে, মায়ের এই অসম্মানের বিচার চান।

.