নিজস্ব প্রতিবেদন: অটো চালকদের বিরুদ্ধে মানুষের নানা অভিযোগ। কখনও ভাড়া নিয়ে ঝামেলা তো কখনও কাটা রুট নিয়ে তর্কাতর্কি। এসবের মধ্যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন করুণাময়ী থেকে উল্টোডাঙ্গা রুটের এক অটো চালক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক মেলা মাঠে বসেছে তাঁতের হাট মেলা। ওই মেলাতে পণ্য বিক্রি করতে এসেছিলেন নদিয়ার ফুলিয়ার বাসিন্দা নিমাই রায় ও তাঁর সঙ্গী দিলীপ মালাকার। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ দোকান টাকা ও পণ্য গুটিয়ে অটোতে ওঠেন। অটোর চালক বেলেঘাটার বাসিন্দা সঞ্জীবন মল্লিক। ট্রেন ধরতে উল্টোডাঙ্গা স্টেশনে নেমে যান নিমাইবাবুরা। কিন্তু ট্রেন ধরার তাড়ায় অটোতে ফেলে যান কালো রঙের ব্যাগ।



ট্রেন ধরতে যাওয়ার আগে মনে পড়ে যায়, তাঁর কাছে ব্যাগটি নেই। আর ওই ব্যাগে ছিল বিকিকিনির টাকা। উল্টোডাঙ্গা স্টেশন থেকে বেরিয়ে অটোটি আর খুঁজে পাননি নিমাইবাবু। হতাশা ও একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে তিনি বাড়ি ফিরে যান। শনিবার সকালে বিধাননগর পূর্ব থানায় আর একটি অভিযোগ দায়ের করে বাড়ি ফিরে যান নিমাইবাবু।  


ব্যাগ ফিরে পাওয়ার আশা ছিলই না। রবিবার দিন সকালে হঠাত্ নিমাই রায়ের কাছে আসে একটি ফোন । বিধাননগর পূর্ব থানা থেকে জানানো হয়, তাঁর ব্যাগটির খোঁজ মিলেছে। এরপর সন্ধেয় অটোচালক সঞ্জীবন মল্লিকের হাত থেকে টাকার ব্যাগটি নেন নিমাইবাবু।


অটো চালক সঞ্জীবন মল্লিক জানান, শুক্রবার রাতে নিমাই রায়কে ছাড়ার পর অটো নিয়ে আর বেরোননি। সোজা বাড়ি চলে যান। পরের দিন সকালে তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার খবর পান। চলে যান কল্যাণীতে। রবিবার আজ সকালে বাড়ি ফিরে অটো পরিষ্কার করতে গিয়ে পিছনের আসনে এক কোণায় দেখতে পান একটি কালো রঙের ব্যাগ। খুলে দেখেন কিছু ওষুধ রয়েছে। আরেকটি চেন খুলতেই দেখতে পান, অনেক টাকা রয়েছে। 


কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে বিধাননগর পূর্ব থানায় চলে যান সঞ্জীবন মল্লিক। সেখানে টাকাভর্তি ব্যাগটি জমা দেন। বিকেলে সঞ্জীবন ও নিমাইকে ডেকে পাঠায় পুলিস। নিমাইবাবুর হাতে ব্যাগটি তুলে দেন সঞ্জীবন মল্লিক। 


আরও পড়ুন- ছবি: বিদেশি নাগরিকদের জন্য অসমে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্প, কী থাকছে?