নিজস্ব প্রতিবেদন: বালিগঞ্জের এই সেতুর বেহাল দশা, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা, চাঙর খসে পড়েছে, দেওয়াল জুড়ে ফাটল। তবে সেসব কার্যত উপেক্ষা করেই বিজন সেতুর দেওয়াল কেটে তৈরি হচ্ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক ধরেই চলছে এই নির্মানকার্য। সেতুর ভগ্রপ্রায় দেওয়াল কেটে কেটে বসছে রেস্তোরাঁর স্লাইড জানলা। সরকারি দেওয়ালেই প্রমাণ সাইজের গর্ত করে বসানো হচ্ছিল চিমনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: গান পয়েন্টে রেখে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক


ঘটনায় কাঠগোড়ায় CSTC-র ক্যান্টিনের লিজ নেওয়া সংস্থা। সরকারি ওই ক্যান্টিনের পাশেই চলছিল নির্মান কাজ। কে বা কারা এই সেতুর নিচে কাজের অনুমতি দিল তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউই। উল্লেখ্য, চলতি মাসের পুরসভার তরফে যে আটটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তাব এসেছে সেই তালিকায় রয়েছে বিজন সেতু অর্থাৎ বালিগঞ্জ রেল ওভার ব্রিজ। অভিযোগ, রেস্তোরাঁর মালিক আশিস মাইতির সঙ্গে যোগাযোগে চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দিনের বেলায় কোনও কাজ হয় না। কাজ চলে রাতের অন্ধকারে। কাজেই একথা স্পষ্ট পরিকল্পনা মাফিকই চলছিল দুর্নীতি।



অবশেষে জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে ইতিমধ্যেই KMDA-র নির্দেশে DC TRAFFIC অফিসের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসের ৫ সদস্যের তদন্তকারী দল। ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছে। মালিক অজিত মাইতি কে DC অফিসে লিজের কাগজপত্র নিয়ে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁর ফ্লেক্স খুলে নিয়ে গেছে পুলিস। নির্মাণকাজের জায়গা সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শুধু দেওয়াল কাটা নয়। নতুন করে রেস্তোরাঁর প্রবেশ পথ তৈরির জন্য যে শাটার গেট বসানো হয়েছে, বা তার জন্য যে দেওয়াল ভাঙা হয়েছে সেটাও বেআইনি।