দাড়ি রাখার 'অপরাধে' চাকরি হারানো ইসমাইলকে বোঝাপড়ার প্রস্তাব সংস্থার
চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। টানা কয়েকমাসের হেনস্থার পর অবশেষে সুরাহা পেলেন পিকনিক গার্ডেনের মহম্মদ আলি ইসমাইল। হজ থেকে ফিরে দাড়ি রেখেছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে তাই তাঁকে বেসরকারি সংস্থা চাকরি থেকে বরখাস্ত করে বলে অভিযোগ। চব্বিশ ঘণ্টায় এখবর সম্প্রচারের পর ইসমাইলকে বোঝাপড়ার প্রস্তাব দেয় ওই সংস্থা।
ওয়েব ডেস্ক: চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। টানা কয়েকমাসের হেনস্থার পর অবশেষে সুরাহা পেলেন পিকনিক গার্ডেনের মহম্মদ আলি ইসমাইল। হজ থেকে ফিরে দাড়ি রেখেছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে তাই তাঁকে বেসরকারি সংস্থা চাকরি থেকে বরখাস্ত করে বলে অভিযোগ। চব্বিশ ঘণ্টায় এখবর সম্প্রচারের পর ইসমাইলকে বোঝাপড়ার প্রস্তাব দেয় ওই সংস্থা।
সাত বছর ধরে বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদে চাকরি করছিলেন পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা মহম্মদ আলি ইসমাইল। কাজের সূত্রে সংস্থার হয়ে একাধিকবার বিদেশেও গিয়েছেন তিনি। কিন্তু গত বছর হজ সেরে ফিরে দাড়ি রাখাই যেন কাল হল। সেপ্টেম্বর মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় বেতন। অফিসে না যাওয়ার নির্দেশ জারি হয় এ বছরের মার্চ মাসে। যদিও কারণটা তাঁর কাছে স্পষ্ট ছিল না। বকেয়া বেতন নিতে গত মাসে অফিসে যান ইসমাইল। তখনই সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে তাঁকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
যে সংস্থায় এতদিন সসম্মানে কাজ করছিলেন, সেখানেই হেনস্থার শিকার হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন মহম্মদ ইসমাইল। অভিযোগ জানাতে ছুটে যান থানায়। কিন্তু পুলিস এফআইআর না নিয়ে, মৌখিক ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাপ দেয় বলে দাবি করেন ওই যুবক।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই বেসরকারি সংস্থা।
বুধবার ২৪ ঘণ্টায় সারাদিন ইসমাইলের বৃত্তান্ত সম্প্রচারের পর সন্ধেয় অবশ্য ওই বেসরকারি সংস্থার সুর বদলে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ঘোরানোর পর আর্থিক পাওনা বুঝে নিতে অবশেষে এসএমএস মারফত ইসমাইলকে অফিসে তলব করা হয়।
তবে লড়াই চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর ইসমাইল। সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও মানবাধিকার কমিশনের কাছে ইতিমধ্যেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। দাড়ি রাখার জন্য সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে হেনস্থার প্রতিকার চেয়ে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন ইসমাইল।