নিজস্ব প্রতিবেদন: বেহালার সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের প্রধান পুরোহিত খুনে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



৫৪২ মহেন্দ্র ব্যানার্জি রোড, রবীন্দ্রনগরে ঝুমার ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই রাত কাটাতেন সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য। রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদও ঝুমার ফ্ল্যাটে যান তিনি। ঝুমার বয়ান অনুযায়ী, রাতে সেখানে মদ্যপান করেন তিনি। ঝুমার পোষ্য কুকুর তাঁকে বিরক্ত করছিল। তাকে পদাঘাত করে বাড়ির বাইরে বার করে দেন তিনি। প্রতিবাদ করেছিলেন ঝুমা। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসাও হয়।


‘জেঠিমা’র ঘনিষ্ঠ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ, তারপর প্রেমিকের সঙ্গে ছক! নরেন্দ্রপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতিতে ধৃত তরুণী


এরপর নিজের ছোটো ছেলেকে নিয়ে পোষ্যকে খুঁজতে বাইরে বেরিয়ে যান ঝুমা। ফিরে এসে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। ধাক্কাধাক্কি করেন তাঁরা। কিন্তু দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের ডাকেন। প্রতিবেশীদের সামনেই ভাঙা হয় ফ্ল্যাটের দরজা। তখনই ড্রয়িং রুমে সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিদ্ধার্থকে ঝুলতে দেখা যায়।


ঝুমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, বেহালার সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের প্রধান পুরোহিত সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের রবিবার রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। অন্যদিকে, পর্ণশ্রীর ঝুমার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল সিদ্ধার্থের। ঝুমার দাবি, তাঁর ছোটো ছেলে সিদ্ধার্থেরই ঔরসজাত। সিদ্ধার্থের স্ত্রী গৌতমীর বয়ান অনুযায়ী, রবিবার রাতে ঝুমা সিদ্ধার্থকে ফোন করে বাড়িতে ডাকেন। এরপরই তাঁরা খবর পান সিদ্ধার্থের মৃত্যুর খবর পান। অন্যদিকে, ঝুমার দাবি, সিদ্ধার্থ রাতে বাড়িতে আসার পর ছোটো ছেলেকে নিয়ে ঝামেলা হয়। ঝুমার দাবি, তাঁর ছোটো ছেলে সিদ্ধার্থের ঔরসজাত। এরপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সিদ্ধার্থ। ঘরে গিয়ে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে দেন। তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।


যদিও সিদ্ধার্থের স্ত্রী গৌতমীর দাবি, সিদ্ধার্থকে খুন করেছেন ঝুমা ও তাঁর ছেলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। সম্পর্কের টানাপোড়েনেই কি খুন নাকি সত্যিই আত্মঘাতী হয়েছেন সিদ্ধার্থ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।