কেন জলে ডোবে ঠাকুরপুকুর, শীলপাড়া, রবীন্দ্রনগর, বড়িশা?
প্রতি বর্ষাতেই কেন জলে ডোবে ঠাকুরপুকুর, শীলপাড়া, রবীন্দ্রনগর, বড়িশা। কোথায় গেল ডোবা-পুকুর-জলা? কি হল বহুকালের চেনা-জানা সেই সব খালের? নেই। স্রেফ উবে গেছে বা মজে গেছে। কীভাবে?
ওয়েব ডেস্ক: প্রতি বর্ষাতেই কেন জলে ডোবে ঠাকুরপুকুর, শীলপাড়া, রবীন্দ্রনগর, বড়িশা। কোথায় গেল ডোবা-পুকুর-জলা? কি হল বহুকালের চেনা-জানা সেই সব খালের? নেই। স্রেফ উবে গেছে বা মজে গেছে। কীভাবে?
অল্প বৃষ্টিতেই জলে ভাসে বেহালার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জলে ভেসে থাকে ঠাকুরপুকুর, শীলপাড়া, রবীন্দ্রনগর, বরিশা। কিন্তু কেন এই বেহাল দশা? এক কথায় বললে, পরিকল্পনাহীন নগরায়ন। গত কয়েক দশকে বহরে বেড়েছে কলকাতা। ডোবা-পুকুর বুজিয়ে বাড়িই নয়, তৈরি হয়েছে একের পর এক আকাশচুম্বি ইমারতও। এভাবে বৃষ্টির জলের ফ্লো এরিয়া তো বুজিয়ে দেওয়া হল, তাহলে জল বেরোবে কোন পথে? এজন্য বাম আমলেই নেওয়া হয়েছিল KEIP প্রকল্প।
পরিকল্পনা ছিল ভূগর্ভস্থ নিকাশি তৈরি, পাম্পিং স্টেশন তৈরি, খাল সংস্কার। ঠিক ছিল, ভূগর্ভস্থ নিকাশির বজ্য পদার্থ পাম্প করে খালে ফেলা হবে। কেইআইপি এক ও দু নম্বর প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। ঋণ নেওয়া হয় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। এগিয়েছে ভূগর্ভস্থ নিকাশির কাজ। কিন্তু খাল সংস্কার ও পাম্পিং স্টেশনের কাজ এখনও বাকি । বেহালার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জল বেরোনোর অন্যতম সংযোগকারী বেগোর খাল প্রায় বুজতে বসেছে। ঠাকুরপুকুর অঞ্চলের সংযোগকারী চড়িয়াল খালও সংস্কার হয়নি। ফলে বেরোতে পারছে না বৃষ্টির জমা জল। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর কেইআইপি দুটি প্রকল্প শেষ হতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে ছয় থেকে সাত বছর। ততদিন পর্যন্ত জমা জলের দুর্ভোগেই দিন কাটাতে হবে বেহালা,ঠাকুরপুকুর, শীলপাড়ার মানুষকে।