Partha Chatterjee, Bengal SSC Scam News: 'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার', দল থেকে সাসপেন্ড হতেই বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়
মন্ত্রিত্ব খোয়ানো এবং দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমি ষড়যন্ত্রের শিকার"।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মন্ত্রিত্ব খোয়ানো এবং দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমি ষড়যন্ত্রের শিকার"। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। কারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে? কাদের দিকে নিশানা করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? কেন এতদিন তিনি মুখ খোলেননি? মন্ত্রিত্ব খুইয়ে দল থেকে সাসপেন্ড হতেই তিনি কেন মুখ খুললেন? এই সমস্ত প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
শুক্রবার ইডির সিডিও কমপ্লেক্সের দফতর থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন হুইল চেয়ারে করে তাঁকে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছিল, তখনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি বলেন, "আমি ষড়যন্ত্রের শিকার"। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, তাঁকে সমস্ত পদ তেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফিরতে হবে। তৃণমূলের অন্দরেও প্রশ্ন ওঠে, নির্দোষ হলে কেন মুখ খুলছেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়?
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee, Bengal SSC Scam News: পার্থ-পর্বে ইতি, 'মহাসচিব' পদটাই তুলে দিচ্ছে তৃণমূল!
এমনকী বিজেপির তরফে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, "আমার মনে হয় না, এত টাকা এই দুজনের হতে পারে! লুঠের টাকা রক্ষা করতেন তাঁরা দুজনে। অনেকের টাকা তাঁরা হেফাজতে নিয়ে সামলাতেন। আমার অনুরোধ, নিজেরা এত কষ্ট পাবেন না। সত্যি কথা বলে দিন। কষ্ট কম হয়ে যাবে। অন্যের কষ্ট আপনি কেন নিয়ে ঘুরছেন? সত্যি কথা বলে দিন। হিন্দিতে একটা প্রবাদ আছে, হাম তো ডুবে হ্যায়, তুঝে ভি সাথ লেকে ডুবেঙ্গে..."।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা থেকেও অপসারিত হন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee)। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর বৃহস্পতিবারই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। জল্পনা ছিল পার্থর মন্ত্রিত্বের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে ওই বৈঠকের পরই পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। শিল্পবাণিজ্য-সহ তথ্য-প্রযুক্তি, পরিষদীয় এবং শিল্প পুনর্গঠন দফতর থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পার্থকে সরানোর পর নাম না করে প্রতিক্রিয়াও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, "একজনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিলাম। আমাদের দল খুব কঠোর দল। অনেক কষ্ট করে রাজনীতিটা করি।"
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই বিকেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্বার হয় বিপুল অঙ্কের টাকা, গয়না, মোবাইল এবং বৈদেশিক মুদ্রা। পরের দিন গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। সোমবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালত, পার্থ এবং অর্পিতাকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অর্পিতাকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছন ইডির অফিসাররা। রাতে ইডি দফতরের একটি রুমেই অর্পিতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে অবশ্য পার্থর কলকাতা ফেরা হয়নি। তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে রাত কাটাতে হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীকেও কোনও থানার লকআপে না রেখে, সিজিও কমপ্লেক্সের আট তলায় আলাদা রুমে (অস্থায়ী “লকআপ”) রাখা হয়।