বাঙালির অনেক কিছুই পারে! ঘুরে দাঁড়িয়ে হাজারো বাধা উপেক্ষা করে জিতে নেওয়ারই নাম "আভেলো।"
একথা-ওকথা শুনিয়েছে সমবয়সীরা। আঘাত করতে ছাড়েননি শিক্ষকরাও। আজ সবার পাল্টা দিয়েছেন আভেলো। এখন তিনি বলেন অন্যরা শোনে, আর ভরসা পায়।
কমলিকা সেনগুপ্ত : করোনা, লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব। কোথাও এলোমেলো হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিক জীবন। সারা বিশ্বেরই ছন্দপতন। ছন্দে ফিরতে চাই ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য ইচ্ছে। আর সেই ইচ্ছেরই রশদ আভেলো রায়দের "লড়াই।" চলার পথে হাজারো বাধা উপেক্ষা করে জিতে নেওয়ারই নাম "আভেলো।"
বাঙালি নতুন কিছু একটা করবে? পাগল হয়েছেন। আবার দেখতে ছোটখাটো আর দশটা মানুষের থেকে একটু ভিন্ন একজন বাঙালি, ক্ষেপেছেন মশাই, নৈব নৈব চ। এই না কেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন খাস কলকাতার আভেলো। তাঁর চলার পথের গল্প নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করছেন নিউ ইয়র্ক ফিল একাডেমির ডঃ ক্রিস্টিনা ডঙ্কা। সাধারণ জীবনের স্রোত থেকে প্রতিকূলে বেয়ে নিজের যুদ্ধ জয়ের গল্পটাই তো সবচেয়ে বেশি করে প্রয়োজন এই অসময়ে। সেই গল্পই আভেলোর জীবন। এক সময় তাঁর খাটো চেহারার জন্য একথা-ওকথা শুনিয়েছে সমবয়সীরা। আঘাত করতে ছাড়েননি শিক্ষকরাও। আজ সবার পাল্টা দিয়েছেন আভেলো। এখন তিনি বলেন অন্যরা শোনে, আর ভরসা পায়।
ভারতের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল সরোজিনী নাইডুর বংশধর এই আভেলো। তাঁর কোম্পানির নাম "কলকাতা ভেঞ্চারস।" বিভিন্ন জায়গায় স্টার্ট আপ কোম্পানি খোলাই তাঁর কোম্পানির কাজ। টেড টকস থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর কথা মনের জোর বাড়ায় হাজার হাজার মানুষের। দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য রেখে অনেককে ঘুরে দাঁড়াতে মনোবল জুগিয়েছেন আভেলো। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ভারত, আমেরিকা, কানাডা ও চিন মিলিয়ে ১৫০-রও বেশি পুরস্কার।
তাঁর কোম্পানি কলকাতা ভেঞ্চারস পূর্ব ভারতের ১০ টি রাজ্যে গত ৩ বছরে প্রায় ৪৫০০ টিরও বেশি চাকরির পদ তৈরি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রতি মাসে ২ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কেছে পৌছে যান আভেলো। এবার ক্রিস্টিনার তথ্যচিত্রর উপর ভর করে আরও মানুষকে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র জোগাবে আভেলোর জীবন। ইতিমধ্যেই নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে সাক্ষাৎকারের শ্যুটিং হয়েছে ভিডিয়ো কনফারেন্স অ্যাপের মাধ্যমে। আভেলো বলছেন, "আমার জীবনের গল্প যদি মানুষ কে আশার আলো দেখায় এর থেকে ভালো কি হতে পারে।"
আরও পড়ুন : ১৪ বছর আগে মানিব্যাগ হারিয়েছিল লোকাল ট্রেনে, খুঁজে দিল রেলের পুলিস