আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিউটাউনে চলছে পাখি শিকার
পাখি শিকার নিষিদ্ধ বহুদিনই। কিন্তু ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই কলকাতা লাগোয়া নিউটাউনে চলছে এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার। গত রবিবার বেঙ্গল বার্ড ডে-র দিনে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন দুই পক্ষীপ্রেমী।
পাখি শিকার নিষিদ্ধ বহুদিনই। কিন্তু ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই কলকাতা লাগোয়া নিউটাউনে চলছে এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার। গত রবিবার বেঙ্গল বার্ড ডে-র দিনে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন দুই পক্ষীপ্রেমী।
নিউটাউনে ইকো পার্কের ঠিক উল্টো দিকে খাল এবং জলাভূমিতে প্রতিবছরই শীতের মরসুমে ভিড় জমায় পরিযায়ী পাখির দল। প্রায় শতাধিক প্রজাতির পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে এখানে। যাদের মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান স্পটেড ঈগলের মত বিরল প্রজাতির পাখিও। গত রবিবার ছিল বেঙ্গল বার্ড ডে। সেদিন কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার জলাভূমিগুলিতে পাখি দেখতে এবং তাদের সম্বন্ধে তথ্য জোগাড়ে বেড়িয়েছিলেন পক্ষীপ্রেমীরা। নিউটাউন এলাকায় যান শুভ্রজ্যোতি চ্যাটার্জি এবং মেঘনা ব্যানার্জি। ইকোপার্কের উল্টোদিকের জলাভূমিতে পৌছে তারা দেখেন এয়ারগান নিয়ে পাখি শিকারে ব্যস্ত জনা পাঁচেক যুবক।
প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় বচসা। দুই পক্ষীপ্রেমীকে রীতিমত হুমকিও দেয় ওই যুবকরা। রবিবারই নিউটাউন থানায় ঘটনাটি বিস্তারিত জানান দুই পক্ষীপ্রেমী। মঙ্গলবার নিউটাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
দুই পক্ষীপ্রেমীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিউটাউন থানা। পরিবেশ দূষণসহ একাধিক কারণে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার জলাভূমিগুলিতে এমনিতেই কমছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে পাখি শিকার। প্রশাসন এবিষয়ে তত্পর না হলে মহানগরীর আশেপাশের জলাভূমিগুলিতে ভবিষ্যতে পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলা যে দুষ্কর হয়ে উঠবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।