নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের পর বিরোধী দল ভাঙিয়ে বহরে বেড়েছে বিজেপি। বর্তমানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১৪। ফলে বিধানসভায় বরাদ্দ ছোট ঘরে আর ধরছে না। সে কারণে বড় ঘরের আবেদন করল গেরুয়া শিবির। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৬ সালে রাজ্যে জোটের হাওয়ায় বিজেপির সম্ভাবনা ধাক্কা খায়। সে বার রাজ্যজুড়ে মাত্র ৩টি আসন জিতেছিল গেরুয়া শিবির। মেদিনীপুর থেকে জিতেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মালদহের বৈষ্ণবনগর ও মাদারিহাট আসন জিতেছিলেন স্বাধীন সরকার এবং মনোজ টিগ্গা। লোকসভা ভোটের সঙ্গে উপনির্বাচনে ভাটপাড়া, দার্জিলিং, হবিবপুর ও কৃষ্ণগঞ্জে জয়লাভ করেছে গেরুয়া ব্রিগেড। ভাটপাড়া থেকে অর্জুনপুত্র পবন সিং, দার্জিলিং থেকে নীরজ তামাং জিম্বা, হাবিবপুরে জোয়েল মূর্মূ ও কৃষ্ণগঞ্জে জিতেছেন আশিস বিশ্বাস। এর মধ্যে সাংসদ হওয়ায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। ফলে বর্তমানে বিজেপির টিকিটে জেতা বিধায়কের সংখ্যা ৬। কিন্তু দল ভাঙিয়ে আরও ৮জনকে এনেছে গেরুয়া শিবির। তাঁরা হলেন- 


বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক- দুলালচন্দ্র ভর।
বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক- শুভ্রাংশু রায়। 
বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক- তুষার ভট্টাচার্য।
হেমতাবাদের সিপিএম বিধায়ক- দেবেন্দ্র রায়। 
লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক- মনিরুল ইসলাম।
নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক- সুনীল সিং।
বনগাঁ উত্তর বিধায়ক- বিশ্বজিত্ দাস।
কালচিনির তৃণমূল বিধায়ক- উইলসন চম্পামারি। 


আরও তিনটি কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন। সেগুলি হল- খড়্গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ ও করিমগঞ্জ। লোকসভা ভোটের ফলের ভিত্তিতে দিলীপের কেন্দ্র খড়্গপুর ও কালিয়াগঞ্জে এগিয়ে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের আশা, তিনটি কেন্দ্রেই তাদের জয় নিশ্চিত। 



বর্তমানে ১৪ জন বিধায়ক নিয়েই বিধানসভায় স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে বিজেপির। সে কথা স্পিকারকে জানিয়ে বড় ঘর দেওয়ার আবেদন করল গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপির একটা ঘর বিধানসভায় এটাই ভাবা যেত না, তারাই বড় ঘরের আবেদন করছে। যা বাংলার রাজনীতির সমীকরণ বদলের আরও একটা ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 


আরও পড়ুন- পার্ক সাকার্সে নিগৃহীত মাদ্রাসা শিক্ষক-সহ ৩ জনকে ৫০ হাজার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর