চিটফান্ডের টাকায় যেসব পুজো হয়, তাদেরকেই নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর, পাল্টা দাবি বিজেপির
‘’আমাদের কাছে এমন অনেক পুজো কমিটি আসছে, যারা ওঁদের হাত থেকে বাঁচতে চায়। এখন ওঁদের হাতের বাইরে সব চলে গিয়েছে।’’
নিজস্ব প্রতিবেদন: “চিটফান্ডের টাকায় নাকতলার পুজো হয়।” সরাসরি তোপ দাগলেন বিজেপি সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তৃণমূলের নাম না করে তিনি বলেন, ‘’আমাদের কাছে এমন অনেক পুজো কমিটি আসছে, যারা ওঁদের হাত থেকে বাঁচতে চায়। এখন ওঁদের হাতের বাইরে সব চলে গিয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, পুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিস পাঠানোর প্রতিবাদে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ডাকে মঙ্গলবার সকাল থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ধরনা মঞ্চে বসেছে তৃণমূলের বঙ্গজননী ব্রিগেড। তাঁদের অভিযোগ, বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চক্রান্ত করছে কেন্দ্র।
আর ঠিক এই বিষয়টিকে ইস্যু করেই পাল্টা সোচ্চার বিজেপি নেতৃ্ত্ব। বিজেপিনেতা সায়ন্তন বসু বলেন, “এবার পুজোয় কাটমানি হবে অসুর। টাকা নিয়েছে যখন লজ্জা করেনি, এখন আর কিছু করা যাবে না।” নাকতলার পুজো উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চিটফান্ডের টাকা লাগে নাকতলার পুজোয়।”
বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ করার চক্রান্ত করছে কেন্দ্র! পুজোকমিটিগুলিকে আয়কর নোটিসের প্রতিবাদে তৃণমূল
একই সুরে বিজেপিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সব পুজো কমিটিকে তো নোটিস দেওয়া হয়নি। কয়েকটি পুজো কমিটিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে, যেগুলি মূলত চিটফান্ড ও কাটমানির টাকায় চলে।” তিনি বলেন, “তৃণমূল এমন ভাব করছে, যেন পুজো ওদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। পুজো সবার, তৃণমূলের একার নয়।”
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বহু গ্রাম থেকে বহু মানুষ পুজোর সময় কলকাতার নামী পুজোগুলিতে আসেন নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসার জন্য। পুজোকমিটিগুলো তাঁদের থেকে প্রচুর টাকা নেয়। এসব টাকার কোন হিসাব নেই। আয়কর দফতরের এটাও তদন্ত করে দেখা উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, “তৃণমূল যে ইস্যুতে ধরনায় বসেছে, তা বাংলার মানুষ ভালো চোখে দেখবেন না। রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা নেই, কত কী ঘটছে, তৃণমূল তো তা নিয়ে কোনও ধরনায় বসে না!”
সোমবারই এই নিয়ে ট্যুইট করেন বিজেপিনেতা বাবুল সু্প্রিয়। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন চিটফান্ডের টাকায় পুজো হয়েছে। লাগাম টানতেই কড়া হচ্ছে আয়কর দফতর। রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লড়াইয়ে সামিল হয়েছে কলকাতার নামিদামি বেশ কিছু পুজো কমিটি। যেমন এদিন তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে ৯৫ পল্লি, কুমোরটুলি সর্বজনীন, কলেজস্ট্রিট, হিন্দুস্তান পার্ক পুজো কমিটিকে।