"সাহিত্য আকাদেমি দিয়ে অপমানিত করা হয়েছে, মমতা নোবেল পাওয়ার ক্ষমতা রাখেন"
"বাংলায় এর আগে এমন প্রতিভাবান জন্মায়নি কেউ", মমতার সাহিত্য আকাদেমি নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য আকাদেমি পাওয়া নিয়ে কম চর্চা হয়নি। পক্ষে যেমন একাধিক সঙ্গতসুর ছিল, তেমন বিপক্ষেও ছিল কটাক্ষের সুর৷ এবার ময়দানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে মর্নিং ওয়ার্ক ও চায় পে চর্চা-এর পরই সাহিত্য আকাদেমি ও নোবেল নিয়ে মমতাকে নিশানা করেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমার তো সন্দেহ হচ্ছে এই ছোট পুরস্কার দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন অপমানিত করা হল? ওঁর তো নোবেল পাওয়ার মতো যোগ্যতা, ক্ষমতা, প্রতিভা আছে। বাংলায় এর আগে এমন প্রতিভাবান জন্মায়নি কেউ। পুরস্কার চালুও করছেন, পুরস্কার নিজেও পাচ্ছেনও। আমরা জানতাম লোকে পুরস্কার পায় পুরস্কার দেয়। আর এরা নিজেরাই নেয়, সব পুরস্কার নিয়ে নিচ্ছে। নিজেদের লোকেদের খুশি করবার জন্যও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার চালু করেছেন। বাংলার সংস্কৃতিকে যেভাবে অপমান করা হচ্ছে এরকম এর আগে কেউ করেনি। যার দলের নেতারা বলেন যে নোবেল দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে অপমান করা হয়েছে, তার কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না।"
বাংলা সাহিত্যচর্চায় নিরলস সাধনার জন্য বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা সাহিত্য জগতে বিশেষ অবদান রেখেছেন, এবার থেকে তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে। সাহিত্যচর্চায় অসামান্য অবদানের জন্য, এ বছর প্রথম এই সম্মান তুলে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। প্রতি ৩ বছর অন্তর এই পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথম বছর 'কবিতাবিতান' কাব্যগ্রন্থের জন্য, এই পুরস্কার পেলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়েই এদিন কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
এদিন বাংলা আকাদেমির চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বলেন, “সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে নিরলস কাজ করার পরও যাঁরা সারস্বত সাধনা, সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন তাঁদের এই পুরস্কার অর্পণ করা হবে। সমস্ত শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক জানিয়েছেন প্রথম বছর এই পুরস্কার মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হোক।"