তুঘলকি কায়দায় জয়েন্ট এগিয়ে এনে পরীক্ষার্থীদের বিপদে ফেলেছে রাজ্য সরকার, পাল্টা তোপ রাজুর

"লজ্জা করে না? ১৯ এপ্রিল জয়েন্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাউকে কিছু না বলে তুঘলকি কায়দায় ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা এগিয়ে নিয়ে এসেছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে জয়েন্ট!"

Updated By: Nov 11, 2019, 08:40 PM IST
তুঘলকি কায়দায় জয়েন্ট এগিয়ে এনে পরীক্ষার্থীদের বিপদে ফেলেছে রাজ্য সরকার, পাল্টা তোপ রাজুর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলায় জয়েন্ট নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কাউকে কিছু না বলে 'তুঘলকি কায়দায়' ২ মাস জয়েন্ট এগিয়ে এনেছে তৃণমূল সরকার। উচ্চমাধ্যমিকের আগেই জয়েন্ট দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এরফলে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী বিপদে পড়বেন। জয়েন্ট বিতর্কে আজ এভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা সুর চড়ালেন রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

এদিন জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কোন ভাষা আন্দোলনের কথা বলছেন জানি না। দেখেছেন কিনা, তাও জানি না। যে ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উনি এত কথা বলছেন, সেই বাংলা ভাষার যদি এত তাঁদের কাছে মানসম্মান ও গুরুত্ব থেকে থাকে, তাহলে তাঁদের জানা উচিতে যে গুজরাটে কোনও আলাদা জয়েন্ট বোর্ড নেই। যেরকম বাংলায় আছে। সেখানে কেন্দ্রীয় পদ্ধতিতে যেরকম পরীক্ষা হয়, সেভাবেই হয়। মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আলাদা জয়েন্ট বোর্ড আছে।"

এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে সরাসরি তোপ দাগেন তিনি। বাংলা ভাষায় জয়েন্টের প্রশ্নপত্রের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সঠিক সময়ে চিঠি পাঠালেন না? প্রশ্ন তোলেন তিনি। তোপ দাগেন, "সঠিক সময়ে চিঠি না পাঠিয়ে এখন শুধু রাজনীতি করার জন্যই এসব বলছেন ওরা।" এরপরই রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ওরা বেশি জয়েন্ট নিয়ে কথা বলছেন? লজ্জা করে না? ১৯ এপ্রিল জয়েন্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাউকে কিছু না বলে তুঘলকি কায়দায় ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা এগিয়ে নিয়ে এসেছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে জয়েন্ট! লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর যে ক্ষতি হবে এর জন্য, তার দায় কে নেবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই এর দায় নিতে হবে। কেবলমাত্র রাজনীতি করার জন্যই এখন কাঁদুনি গাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শিক্ষা থেকে সবকিছুতে এরা রাজনীতি জুড়ে দেন।"

প্রসঙ্গত, জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষায় আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে বাংলার অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আজ ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। বাংলা ভাষায় জয়েন্টের প্রশ্নপত্র নয় কেন? আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে কেনই বা শুধু গুজরাটি ভাষা স্থান পেয়েছে? ধরনা মঞ্চ থেকে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। ধরনা মঞ্চ থেকে 'ভাষা আন্দোলনের' ডাক দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক জানান, কেন্দ্রের জয়েন্টে বাংলায় প্রশ্নপত্রের দাবিতে কিছু দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে সরব হবে তৃণমূল। পার্লামেন্ট কথা না শুনলে ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রান্তে আন্দোলন হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

আরও পড়ুন, 'গরুর দুধে সোনা' মন্তব্যে সমালোচনা, ইসকনে গিয়ে গোমাতার কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্যথিত দিলীপ

ধরনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, "বাংলার প্রতি বঞ্চনা করা হচ্ছে। বাঙালির প্রতি বঞ্চনা করা হচ্ছে। যতদিন বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি না দেওয়া হবে ততদিন এই লড়াই চলবে। বাংলা ভাষা যদি জয়েন্টের প্রবেশিকায় স্বীকৃতি না পায়, তবে দিল্লির বুক থেকে বাংলা নিজের অধিকার ছিনিয়ে নেবে।"

.