ব্রাত্যয় বিরূপ মুখ্যমন্ত্রী?
মন্ত্রীকে নয়, মহাকরণে ব্রাত্য বসুর থেকে সাংবাদিকদের দূরে রাখতে পুলিসকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ব্রাত্য বসু। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকের পর বেরিয়ে যান তিনি। সাংবাদিকদের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেয় পুলিস। জানানো হয়, "মুখ্যমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশ থাকায় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না সাংবাদিকরা।" তবে তিনি পদত্যাগ করবেন কি না, সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর দেননি শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রীকে নয়, মহাকরণে ব্রাত্য বসুর থেকে সাংবাদিকদের দূরে রাখতে পুলিসকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ব্রাত্য বসু। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকের পর বেরিয়ে যান তিনি। সাংবাদিকদের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেয় পুলিস। জানানো হয়, "মুখ্যমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশ থাকায় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না সাংবাদিকরা।" তবে তিনি পদত্যাগ করবেন কি না, সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর দেননি শিক্ষামন্ত্রী। ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে মন্ত্রীসভার এক সদস্যের সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠকের পর তাঁকেই তো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না-বলার নির্দেশ দিতে পারতেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কি ব্রাত্যর আচরণে বিদ্রোহের ইঙ্গিত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী?
আঠাশে ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটকে ব্যর্থ করতে নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ওই দিন কাজে যোগ না-দিলে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। ধর্মঘটের পর বিভিন্ন দফতর থেকে অনুপস্থিত কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয় মহাকরণে। তবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, "তিনি গোয়েন্দাগিরি করতে রাজি নন। তাই তাঁর দফতরের তরফে এরকম কোনও তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়নি।" পরে তিনি আরও বলেন, "প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে একথা বলবেন তিনি।" ধর্মঘট রুখতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরই মন্ত্রিসভার এক সদস্যের এই মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়। শনিবার ব্রাত্য বসুকে মহাকরণে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সরকারের অবস্থানের বিরোধিতা করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাত্য বসুকে কড়া ভাষায় সাবধান করে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওদিকে মন্ত্রীকে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ না-দিয়ে, পুলিসকে তাঁর থেকে সাংবাদিকদের দূরে রাখতে নির্দেশ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, বিরোধ কি তবে বিদ্রোহে পৌঁছেছে? একই সঙ্গে মহাকরণে সাংবাদিকদের কাজ করার স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।