অন্তরালে থেকেই পথ দেখাচ্ছেন বুদ্ধ! বই লিখলেন হিটলারের পরাজয় নিয়ে

কেন জার্মানির স্বৈরাচারী শাসকের শাসনকাল নিয়ে বই লিখতে গেলেন তিনি?

Updated By: Oct 9, 2018, 08:34 PM IST
অন্তরালে থেকেই পথ দেখাচ্ছেন বুদ্ধ! বই লিখলেন হিটলারের পরাজয় নিয়ে

মৌমিতা চক্রবর্তী

অবশেষে প্রকাশিত হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের লেখা  বই, ‘নাতজি় পার্টির  জন্ম ও মৃত্যু’।  পুজোয় সিপিএমের যে কোনও বুক স্টলে মিলবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এই বই। শারদ উত্সবে কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী-র তরফে যে বুক স্টল করা হবে, সেই মার্ক্সীয় সাহিত্য পুস্তক বিক্রয় কেন্দ্র থেকেই এই বইটি সংগ্রহ করা যাবে বলেই জানা যাচ্ছে। আর যদি কেউ এখনই এই বই সংগ্রহ করতে চান, তাহলে তাঁকে পৌঁছে যেতে হবে কলেজ স্ট্রিটের এনবিএ-তে। তারাই এই বইয়ের প্রকাশক।

আরও পড়ুন- 'মাপকাঠি কী?' প্রশ্ন তুলে পুজোয় সরকারি অনুদানে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট

প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব বাবুর শরীরির অবস্থা একেবারেই ভাল নয়।  আসতে আসতে ফুরিয়ে আসছে চোখের জ্যোতি।  তীব্র আলো পড়লেই অসহ্য যন্ত্রণা হয় তাঁর চোখে। শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। বয়স যত বাড়ছে বার্ধক্য এই কর্মপ্রাণ বাম নেতাকে একেবারে গৃহবন্দি করে দিচ্ছে। আগে নিয়ম করে আলিমুদ্দিনের পার্টি অফিসে যেতেন তিনি, এখন সেটাও বন্ধ। হাসপাতালেও যাবেন না বলে পণ করেছেন। যার কারণে সমস্ত চিকিত্সা-ই চলছে তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটেই। এই অবস্থায় হিটলারের জার্মানি নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন বুদ্ধবাবু। দুষ্প্রাপ্য বইয়ের প্রতিটা পাতা উল্টে উল্টে ‘ফ্যাসিস্ট শাসক’ হিটলারকে পড়েছেন তিনি। অতন্দ্র প্রহরীর মতো বুঝতে চেয়েছেন নাতজি় পার্টির এক একটা পদক্ষেপ। মাঝে অসুস্থতার কারণে এসবই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সিপিএম নেতা অভীক দত্তের সহায়তায় তিনি তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেছেন। এবারের শারদীয়া-কে উপলক্ষে ‘নাতজি় পার্টির  জন্ম ও মৃত্যু’-বইটি লিখেছেন তিনি।

আরও পড়ুন- ‘অরূপ-ববির তো মুখ দেখাদেখি বন্ধ’

এখন প্রশ্ন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে হঠাত্ কেন জার্মানির স্বৈরাচারী শাসকের শাসনকাল নিয়ে বই লিখতে গেলেন তিনি? দলীয় নেতাদের অনেকেই বলাবলি করছেন, বিগত ২ বছর ধরেই অ্যাডলফ হিটলারের পরাজয় নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। এবং সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে যে ধরণের রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, সেখানে বিশ্ব ইতিহাসকেই  দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছেন বুদ্ধবাবু। 

.