অর্ণবাংশু নিয়োগী: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্যে লাগাম টানল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের অন্তবর্তী নির্দেশ, 'মুখ্যমন্ত্রী-সহ কেউ মানহানিকর মন্তব্য করতে পারবেন না। কোনও কিছু মানহানিকর সোশ্যাল সাইটে বলা যাবে না'। ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত বহাল থাকবে এই নির্দেশ।
Add Zee News as a Preferred Source
আরও পড়ুন: TMC Clash: তৃণমূল বনাম তৃণমূল! থানার সামনেই দলের যুবনেতাকে সপাটে চড় মহিলা কাউন্সিলরের...
রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে নয়া মোড়। কলকাতা হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্য়পাল। গতকাল সোমবার সেই মামলাটির শুনানি শেষ হয় বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে। রায়দান স্থগিত ছিল। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'মামলাকারীর দাবি অনুযায়ী, তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বেশ কিছু মন্তব্যে। ওই রকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। যদি এই পর্যায়ে অন্তর্বর্তিকালীন আদেশ মঞ্জুর-না করা হয় তবে মামলাকারীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টিতে উৎসাহ দেওয়া হবে'।
কেন এই মানহানির মামলা? রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। সঙ্গে দিল্লিতে এক নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণেরও অভিযোগও। এরপর বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথকে ঘিরে যখন জটিলতা তৈরি হয়, তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজভবনে যা চলছে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। রাজ্যপাল কেন বিধানসভায় এসে শপথ নেওয়াবেন না? কেন স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার দায়িত্ব দেবেন না'? সেই মন্তব্যের জেরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামহানির মামলা করেন রাজ্য়পাল।
এদিকে মানহানির মামলা করার পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মু্খ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমার আত্মসম্মান নিয়ে যিনি প্রশ্ন তোলেন তাঁকে ভুগতে হবে। তিনি আমার প্রশাসনিক সহকর্মী কিন্তু তিনি এক্ষেত্রে দোষী। যে সমাজ মহিলাদের সম্মান রক্ষা করতে পারে না সেই সমাজকে সভ্য বলে মানা যায় না। সরকার সমর্থিত হিংসা চলছে এরাজ্যে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক'।
আরও পড়ুন: Topsia: খাস কলকাতায় প্রোমোটারের 'দাদাগিরি', এবার রেহাই পেলেন না অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাও!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)