ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষকের বেতন কাটার সুপারিশ! প্রধানশিক্ষকের কাছে জবাব তলব হাইকোর্টের
সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষকের বেতন কাটার সুপারিশ! কোন যুক্তিতে? প্রধানশিক্ষকের কাছে জবাব তলব করল হাইকোর্ট। হেডমাস্টারকে আদালতে ডেকে পাঠালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, হুগলির তেলেনিপাড়া মহাত্মা গান্ধী হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা সুনীতা শর্মা। ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে ভেলোরে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর লোক পাঠিয়ে ওই শিক্ষিকার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক। কিন্তু যখন কাজে যোগ দেন, তখন বেতন কেটে নেওয়া হয়!
আরও পড়ুন: Babul Supriyo: বুধবার শপথগ্রহণ বালিগঞ্জের বিধায়কের; স্পিকারের চিঠিতে কাটল জট
কেন? কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন সুনীতা। এদিন মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ক্য়ানসার আক্রান্ত ওই শিক্ষিকা আদালতে জানান, প্রধানশিক্ষকই ডিআই-কে চিঠি লিখে বেতন কেটে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। এমনকী স্পেশাল লিভের টাকাও পাননি তিনি। প্রধানশিক্ষকের আইনজীবী পাল্টা সওয়াল করেন, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ইচ্ছা করে স্কুলে দেরিতে আসেন। আর ক্য়ানসারের বিষয়টি জানাননি।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি নিয়ে রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের
আগামিকাল, বুধবার দুপুরে হুগলির তেলেনিপাড়া মহাত্মা গান্ধী হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষককে আদালতে ডেকে পাঠিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'মাত্র কয়েক ঘণ্টার পথ পেরিয়ে প্রধানশিক্ষক আদালতে জানাবেন, কি কারণে একজন ক্যানসার রোগীর টাকা কেটে নেওয়ার সুপারিশ করতে বাধ্য হলেন'। এর আগে, ২৫ বছর ধরে বেতন না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাওড়ার শ্যামপুর হাইস্কুলে বাংলার শিক্ষিকা শ্যামলী ঘোষ। এরিয়া-সহ তাঁর প্রাপ্য বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ৩৬ বছর ধরে চলা মামলার নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।