সিবিআই দফতরে আজ ফের জেরা করা হচ্ছে রজত মজুমদারকে

সিবিআই দফতরে আজ ফের জেরা করা হচ্ছে প্রাক্তন পুলিসকর্তা রজত মজুমদারকে। সারদা কেলেঙ্কারিতে তাঁর ভূমিকার পাশাপাশি, রজত মজুমদারের পুলিসি যোগাযোগও খতিয়ে দেখছে পুলিস। সুদীপ্ত সেন ফেরার হওয়া থেকে শুরু করে সারদা নিয়ে সিটের তদন্তে রজত মজুমদারের কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Updated By: Sep 15, 2014, 03:21 PM IST
সিবিআই দফতরে আজ ফের জেরা করা হচ্ছে রজত মজুমদারকে

ওয়েব ডেস্ক: সিবিআই দফতরে আজ ফের জেরা করা হচ্ছে প্রাক্তন পুলিসকর্তা রজত মজুমদারকে। সারদা কেলেঙ্কারিতে তাঁর ভূমিকার পাশাপাশি, রজত মজুমদারের পুলিসি যোগাযোগও খতিয়ে দেখছে পুলিস। সুদীপ্ত সেন ফেরার হওয়া থেকে শুরু করে সারদা নিয়ে সিটের তদন্তে রজত মজুমদারের কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রাক্তন পুলিসকর্তা নিজের প্রশাসনিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন কি না, জেরায় তাই জানার চেষ্টা চলছে। সারদা কেলেঙ্কারির একাধিক সাক্ষী ও অভিযুক্তের জিজ্ঞাসাবাদের সময় বারবার রজত মজুমদারের নাম উঠে এসেছে। নিজের যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর।

 সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের তিন ক্লাবকর্তা। সারদার সঙ্গের ইডির স্পনশরসিপ চুক্তির যাবতীয় নথি নিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছেন শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, কল্যাণ মজুমদার ও তপন দাস।

২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ময়দানের চার ক্লাব, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, কালীঘাট এমএস এবং ভবানীপুর স্পোর্টিংকে সারদা গোষ্ঠী আর্থিক অনুদান দিয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে ইডি। সেইমতো চারটি ক্লাবের কর্তৃপক্ষকে স্পনশরশিপের যাবতীয় নথি, ক্লাবের আর্থিক লেনদেনের হিসেব ও ব্যালান্স শিট নিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আজ ইডি অফিসে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের তিন ক্লাবকর্তা।

এদিকে, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বাড়বাড়ন্ত রুখতে প্রথমে ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্যকেই। এমনই মত সেবি চেয়ারম্যান ই উকে সিনহার। তাঁর বক্তব্য, ভারতবর্ষের মতো বড় দেশের প্রতিটি কোণায় নজরদারি চালানো সেবির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষে কার্যত অসম্ভব। পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে কোনও বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা  বাজার থেকে টাকা তুললে তা প্রথমে নজরে আসে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনেরই।

সেবির চেয়ারম্যানের মতে, রাজ্য সরকারের হাতে যে ক্ষমতা রয়েছে তা যথাযথ ব্যবহার করলে সহজেই বড়বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি আটকানো সম্ভব।

সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ও সেবির আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেছেন তিনি।  মুখ্যসচিবদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাজার থেকে পঞ্জি স্কিমের মাধ্যমে যাঁরা টাকা তুলছেন  তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, এবিষয়ে রাজ্য সরকারকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেবির চেয়ারম্যান।

.