মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবির বিক্রির হিসেব জানতে চায় সিবিআই, হিসেব দেবেন না মুকুল

সাধারণ সম্পাদকের পদ যেতেই তৃণমূলের সব দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মুকুল রায়। সিবিআই ছবি বিক্রির হিসেব চাইলেও মুকুল জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পক্ষে হিসেব দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, যে সময়ের জন্য হিসেব চাওয়া হয়েছে তখন তো সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দলের জমা-খরচের হিসেব রাখার দায়িত্ব ছিল মুকুলের হাতেই। এখন কী করে সেই দায় এড়াচ্ছেন তিনি?

Updated By: Mar 11, 2015, 06:57 PM IST
মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবির বিক্রির হিসেব জানতে চায় সিবিআই,  হিসেব দেবেন না মুকুল

ওয়েব ডেস্ক:সাধারণ সম্পাদকের পদ যেতেই তৃণমূলের সব দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মুকুল রায়। সিবিআই ছবি বিক্রির হিসেব চাইলেও মুকুল জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পক্ষে হিসেব দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, যে সময়ের জন্য হিসেব চাওয়া হয়েছে তখন তো সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দলের জমা-খরচের হিসেব রাখার দায়িত্ব ছিল মুকুলের হাতেই। এখন কী করে সেই দায় এড়াচ্ছেন তিনি?

মুকুল রায়কে চিঠি দিয়ে তৃণমূলের আয়-ব্যয়ের হিসেব চেয়েছে সিবিআই। সঙ্গে সঙ্গেই মুকুল পাল্টা চিঠি দিয়েছেন সিবিআইকে। যেহেতু তিনি আর দলের সাধারণ সম্পাদক নন, তাই তাঁর পক্ষে হিসেব দেওয়া সম্ভব নয়।

কিন্তু, সত্যিই কি সব দায় এড়াতে পারেন মুকুল রায়? সিবিআই জানতে চেয়েছে, ২০১০ থেকে দু-২০১৪, এই ৪ বছরে কত টাকা অনুদান পেয়েছে তৃণমূল? বিজ্ঞাপন থেকে কত টাকা এসেছে দলের ঘরে? ছবি বিক্রি থেকেই বা কত টাকা পেয়েছে দল?প্রতিবছরই তো দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। তারপরও কেন তৃণমূলের জমা-খরচের হিসেব চাইছে সিবিআই? সিবিআই সূত্রে খবর, আয়-ব্যয়ের হিসেব নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠাতেই এই তলব।

২০১০  থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আয়-ব্যয়ের হিসেব দাখিলের দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়ই। সেই হিসেব সঠিক-বেঠিক যাই হোক না কেন, তার দায় কোনওভাবেই এড়াতে পারেন না তিনি।  সিবিআই জানতে চায় ছবি বিক্রির টাকা কোথায় গেল? টাকা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে গেছে না দলের অ্যাকাউন্টে? ছবি বিক্রি থেকে পাওয়া টাকার ওপর আয়কর দেওয়া হয়েছে কি?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার বলেছেন, তিনি ছবি বিক্রি করে দল চালান।কিন্তু, সিবিআই সূত্রে খবর, এই টাকার হিসেব সঠিকভাবে অডিটে দেখানো হয়েছে কিনা তা নিয়ে তারা সন্দিহান। আগে অনুদানের কথা বলা হলেও পরে আবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে মুকুল রায় জানিয়েছেন, বিতর্কিত ত্রিনেত্র কনসালট্যান্টের কাছ থেকে তারা অনুদান নয়, ঋণ নিয়েছিলেন। তাই যদি হয়, তা হলে TDS জমা দেওয়া হয়েছিল কি?
 
এ সবেরই দায় মুকুল রায় এখন নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে তা কি সম্ভব? কারণ, এই সেদিনও তো  দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সিন্দুকের চাবি ছিল তাঁর কাছেই।

.