CBI: এজেসি বোস রোডে ব্যাঙ্কিং ম্যানেজমেন্ট সংস্থার অফিসে তল্লাশি সিবিআইয়ের, এল টাকা গোনার মেশিন
ফিনসোর প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থায় অফিসে কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি। কেন এমন আচমকা হানা তা এখনও জানা যায়নি
মনোজ মণ্ডল: মধ্য কলকাতার এ জে সি বোস রোডে একটি ব্যাঙ্কিং ম্যানেজমেন্ট সংস্থার অফিসে হানা দিল সিবিআই। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে ওই সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। আনা হয় টাকা গোনার মেশিন। ফলে সন্দেহ হয় গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়ি বা অর্পিতা চট্টোধ্যায়ের বাড়ির মতো এখানেও মিলেছে বিপুল টাকা হদিস! সোমবার দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের অফিস থেকে সিবিআইয়ের ৬-৭ জন অফিসার গিয়ে হাজির হন এজেসি বোস রোডের অফিসে। ফিনসোর প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থায় অফিসে কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কেন এমন আচমকা হানা তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন-লন্ডনে সর্বস্ব লুট ভারতীয় ক্রিকেটারের, হোটেল থেকেই চুরি ব্যাগ-টাকা-গয়না!
সূত্রের খবর হাওয়ালা সংক্রান্ত একটি মামলায় এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। অফিসের কাউকেই অফিস থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সিবিআইয়ের অফিসাররা ওই অফিসে আসেন এবং প্রায় ৬ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। এদিকে সন্ধে গড়াতেই ওই টাকা গোনার মেশিন অফিস থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সূত্রের খবর, ওই অফিস থেকে কোনও টাকার হদিস পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। ওই ব্যবসায়ীর নাম নিশার খান। নিসারের বাড়ির খাটের তলা থেকে দু-হাজার এবং পাঁচশো টাকার নোটে উদ্ধার হয় ওই টাকা। এমনকি হাঁড়ির মধ্যেও পাওয়া যায় টাকার বান্ডিল। একটি মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে প্রতারণার একটি মামলার তদন্তে উঠে আসে নাসির খান ও তার ছেলে আমিরের নাম। আমিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ বানিয়ে বিপুল টাকা প্রতারণা করেছে আমির।
ইডি সূত্রে জানানো হয়েছিল আমির খানের তৈরি মোবাইল অ্যাপটি অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর তারপর হঠাৎ করেই অ্যাপটি মুছে দেওয়া হয়। এমনকি ইডি আধিকারিকদের এও সন্দেহ ছিল আমিরের সঙ্গে কোন প্রভাবশালী যোগও রয়েছে। টাকার উৎস সম্পর্কে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি নিসার।