কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: : পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কলকাতা শহর ও শহরতলির ১২ জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। কলকাতায় ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। পাশাপাশি ভবানীপুরে মদন মিত্রের বাড়ি, কামাহাটিতে তাঁর আবাসনেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। মদন মিত্রের দক্ষিণনেশ্বরে যে ফ্ল্যাট রয়েছে তার কাছেই একটি পার্টি অফিস রয়েছে। সেই পার্টি অফিসেরে শার্টার খুলে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই; সরকার বদলায়, হুঁশিয়ারি সুদীপের, কী বললেন বিকাশ


মদন মিত্রের দক্ষিণেশ্বরের ফ্ল্যাটে সাড়ে তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালায় সিবিআই। এরপর আবাস লাগোয়া একটি পার্টি অফিসের তালা খোলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অফিসের স্টাফদের নিয়ে সেখানে পৌঁছে যায় সিবিআই। তারপর সেখানে বেশকিছুক্ষণ তল্লাশি চালান অফিসাররা। পার্টি অফিসের বস্তায় রয়েছে প্রচুর কাগজপত্র। মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে সেসব পরীক্ষা করে দেখেন তদন্তকারীরা। অফিসের আলমারি খুলে কিছু ফাইল সংগ্রহ করা হয়।  তারপর ওইসব ফাইলপত্র নিয়ে তারা ফের উঠে যান মদন মিত্রের পাঁচতলার ফ্ল্যাটে। বাইরে থেকে কেউ যাতে আসতে না পারেন তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়।


উল্লেখ্য, কামারহাটি পুরসভার দুর্নীতি সংক্রান্ত ইস্যুতে অয়ন শীল ও তাঁর বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরা করে সিবিআই। তার সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়। সেই নথিতে তত্কালীন মন্ত্রী মদন মিত্রের নাম উঠে আসে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মদন মিত্রের ভবনীপুর  ও দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। মদন মিত্রের অফিস থেকে ফাইলপত্র নিয়ে গিয়ে ফ্ল্যাটে যাওয়ার সময় মদনের অফিসের ২ কর্মীকেও ডেকে নেওয়া হয়।


উল্লেখ্য, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আজ কলকাতা ও শহরতলির মোট ১২ জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, কাঁচরাপাড়া ব্যারাকপুর, হালিশহর, দমদম, উত্তর দমদম, কৃষ্ণনগর, হালিশহর, টাকি, ভবানীপুর, কামারহাটি ও চেতলা। মদন মিত্রের দুটি বাড়িতে অভিযান হয়েছে। অনেক জায়গায় প্রাক্তন পুরপ্রধানদের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। এবছর মার্চ মাসের ২০ তারিখে অয়ন শীলের বাড়িতে এমন কিছু নথি পায় যেখানে দেখা যায় রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় পরীক্ষা নেওয়ার বরাত পায়। কিছু ওএমআর শিট পাওয়া যায়। তদন্তে উঠে আসে অয়ন শীলের কোম্পানি ৬০ পুরসভার পরীক্ষার বরাত পায়। প্রতিটি পুরসভায় গড় ১০০ জন করে মোট ৬০০০ লোক নিয়োগ করা হয়। প্রায় ৫ হাজার ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয় বলে অভিযোগ।


এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। তা থেকে নজর ঘোরাতেই কদিন আগেই দেখালাম উত্তর ২৪ পরগনায় বিভিন্ন প্রান্তে সিবিআই হানা দিয়েছে। আজও সেটাই হচ্ছে। সিবিআইয়ের নাম থাকা সত্বেও শুভেন্দুর কেশাগ্র স্পর্শ্ব করা হয় না। প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল পাওয়া গেল। তারও কিছু হল না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এসব করা হচ্ছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)