জরুরি ভিত্তিতে জেনারেটর চালাবে CESC, পরিস্থিতি 'কিছুটা স্বাভাবিক' হতেও মঙ্গলবার গড়াবে
আপাতত ১০০টা জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেগুলি হাসপাতাল, পাম্পিং স্টেশন ও আবাসনে ব্যবস্থা করা হবে।
![জরুরি ভিত্তিতে জেনারেটর চালাবে CESC, পরিস্থিতি 'কিছুটা স্বাভাবিক' হতেও মঙ্গলবার গড়াবে জরুরি ভিত্তিতে জেনারেটর চালাবে CESC, পরিস্থিতি 'কিছুটা স্বাভাবিক' হতেও মঙ্গলবার গড়াবে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/05/23/251602-4.jpeg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : পরিস্থিতি সামাল দিতে জেনারেটর চালাবে CESC। হাসপাতাল, পাম্পহাউজগুলিতে জেনারেটর চালানো হবে। জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে জেনারেটর চালাবে CESC। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ সিং। তিনি বলেন, "মানুষের অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
আজ সাংবাদিক বৈঠক করে অভিজিৎ সিং বলেন, মাটির উপর দিয়ে যেখানে লাইন গিয়েছে সেখানেই সমস্যা বেশি। কাজ চলছে। মঙ্গলবারের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হবে। এমনটাই আশা করছেন তাঁরা। আপাতত ১০০টা জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেগুলি হাসপাতাল, পাম্পিং স্টেশন ও আবাসনে ব্যবস্থা করা হবে। লকডাউনের জেরে কর্মী আনার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। যদিও কর্মী সমস্যার কথা তাঁরা কাউকে জানাননি কেন? এ প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দেননি সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বুধবার বিকালে বাংলার বুকে আছড়ে পড়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। সেই দুর্যোগের পর ৩ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। ৪ দিন হতে চলল। এখনও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা। বিদ্যুৎ নেই, ফলে জলও নেই। চরমে পানীয় জলের সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে বার বারই বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন মানুষ। CESC-র তরফে পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ জানান তাঁরা।
রাস্তায় গাছ পড়ে রয়েছে এখনও। বিদ্যুতে খুঁটি নিয়ে উপড়ে পড়েছে গাছ। ছিঁড়ে গিয়েছে তার। এই পরিস্থিতিতে কে গাছ কাটবে? পুরকর্মী না CESC কর্মীরা? তা নিয়ে চাপানউতর দেখা দেয়। দরকারে লোক ভাড়া করে গাছ কাটান, এই মর্মে CESC-কে কড়া বার্তা দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য CESC-কে কড়া বার্তা দেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমও।
আরও পড়ুন, 'কেউ কেউ উসকাচ্ছে, প্ররোচিত হবেন না, আমাদের শান্তিতে কাজটা করতে দিন'