নিজস্ব প্রতিবেদন: গড়িয়াহাট জোড়া খুনকাণ্ডে (Gariahat Murder) চার্জশিট (Chargesheet) পেশ। মূল পাণ্ডা ভিকি-সহ ধরা পড়েছে ৬ অভিযুক্তই। এমনকী, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটিরও সন্ধান মিলেছে। ৮৭ দিনের মাথায় এবার ধৃতদের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করল পুলিস। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হল ৮০ জনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত্র ১৭ অক্টোবর। সেদিন গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২টি মৃতদেহ। দোতলা বাড়ির একতলায় মেলে নিউটাউনের বাসিন্দা  সুবীর চাকীর দেহ। তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের দেহ পাওয়া যায় দোতলায়। পরিবারের লোকেদের দাবি, কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি বিক্রি চেষ্টা করছিলেন সুবীর। রবিবার কোনও ক্রেতাকে দেখানোর জন্য ওই বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন গাড়ির চালকও। রাতে আর ফেরেননি, এমনকী মোবাইল ফোনটিও সুইচড অফ ছিল। 


আরও পড়ুন: Hydroxychloroquine and Favipiravir: ৫০ হাজারেরও বেশি করোনার ২ 'জীবনদায়ী' ওষুধ 'নষ্ট হচ্ছে' বেলেঘাটা আইডিতে


খুন হয়ে গেলেন কী করে? তদন্তে জানা যায়, নিহত সুবীর চাকি কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি দেখভাল করতেন মিঠু হালদার নামে এক মহিলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মণ্ড হারবার থেকে তাঁকে আটক করে পুলিস। এরপর প্রথমে ডায়মন্ড হারবার থানা, তারপর লালবাজারে নিয়ে ম্যারাথন জেরা করা হয় মিঠুকে। শেষপর্যন্ত গ্রেফতার হয় বাড়ির পরিচারিকা। 


আরও পড়ুন: সাতসকালে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে মরণ ঝাঁপ! ব্যহত পরিষেবা


এদিকে গড়িয়াহাট জোড়া খুনকাণ্ডের পর মুম্বই পালিয়েছিল মূল অভিযুক্ত ভিকি ও তার সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গত বছরের নভেম্বরে মুম্বই থেকেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিস। আর খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র? গ্রেফতার হওয়ার পর ভিকিকে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে অভিযান চালায় লালবাজারের একটি দল। কার্যত চিরুনি তল্লাশি চলে অভিযুক্তের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকায়। যদিও খুনের ব্যবহৃত ছুরিটি ঠিক কোথা থেকে পাওয়া গিয়েছে, তা জানা যায়নি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)