বেআইনি অর্থলগ্নির ব্যবসা করলে জেলে যেতে হবেই, মমতার অবস্থানে সায় কেন্দ্রের
বেআইনি অর্থলগ্নির ব্যবসা করলে জেলে যেতে হবেই। জরিমানা দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থানেই সায় দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই মত বদলে মোদী-মমতা সুম্পর্কের ছায়া দেখছে রাজনৈতিক মহল।
ওয়েব ডেস্ক: বেআইনি অর্থলগ্নির ব্যবসা করলে জেলে যেতে হবেই। জরিমানা দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থানেই সায় দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই মত বদলে মোদী-মমতা সুম্পর্কের ছায়া দেখছে রাজনৈতিক মহল।
গত বছর এপ্রিলে দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোটেকশন অফ ইন্টারেস্ট অফ ডিপোজিটার্স ইন ফিনান্সিয়াল এস্ট্যাবলিশমেন্ট বিল পাশ করায় রাজ্য সরকার। বলা হয়, চিটফান্ডে দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই ধারাটি সংশোধন করে জরিমানা দিয়ে হাজতবাস এড়ানোর সংস্থান রাখার কথা বলে। যদিও, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের প্রস্তাব মানেননি। তাঁর যুক্তি ছিল, টাকা দিয়ে পার পেয়ে গেলে আইনটি দুর্বল হয়ে যাবে। তাঁর এই যুক্তি মেনে নিয়েছে কেন্দ্র।
অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে, বেআইনি অর্থলগ্নির ব্যবসায় দোষী প্রমাণিত হলে জরিমানা দিয়ে কারাদণ্ড এড়ানো যাবে না, রাজ্য সরকারের এই অবস্থানের সঙ্গে একমত হয়েছে কেন্দ্রের আর্থিক পরিষেবা দফতর। এক বছর আগে দ্বিতীয়বার চিটফান্ড বিল পাশ হয়েছে বিধানসভায়। এই সংশোধনী প্রস্তাবে রাজ্যের আপত্তির কথা তখন থেকেই কেন্দ্রের জানা। কিন্তু, হঠাত করে এতদিন পর কেন সেই আপত্তি মেনে নেওয়া হল?এর পিছনে মোদী-মমতা সাম্প্রতিক সুসম্পর্কের রসায়ন কাজ করছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেন্দ্রীয় সরকারের বাকি তিনটি সংশোধনী প্রস্তাব মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। যাতে বলা হয়েছে, যদি প্রতারকের বিরুদ্ধে একাধিক আইনে মামলা চলে এবং দুটি আইনের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয় তা হলে কেন্দ্রের আইন বলবত্ হবে, রাজ্যের নয়।
চিটফান্ডে অভিযুক্ত আগাম জামিন পাবেন না। এবং, চিটফান্ডে অভিযুক্তকে আগে থেকে না জানিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
এই তিনটি সংশোধনীর মধ্যে প্রথমটি নিয়ে শুরুতেই আপত্তি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সরকার তখন তা মানেনি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে সংশোধিত চিটফান্ড আইন বিধানসভায় পাশ হওয়া সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু, এই আইনে আবার রাষ্ট্রপতির সই লাগবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।