কোভিডকে তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে ব্যাটিং ক্রিসমাসের, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকমহল

প্রাণভয় ফিরে না এলে শুধরোবে না বাঙালি, মত চিকিৎসকের।

Updated By: Dec 25, 2020, 06:27 PM IST
কোভিডকে তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে ব্যাটিং  ক্রিসমাসের, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকমহল

নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিডকে হারিয়ে দিল ক্রিসমাস। কোভিড আবহেই বড়দিনের উল্লাসে মেতে উঠল বাঙালি। 

রীতিমতো ভিড় দেখা গেল পার্ক স্ট্রিটে, চিড়িয়াখানায়। খুব লাগামছাড়া ভিড় না হলেও জনসমাগম দেখা গিয়েছে নিকো পার্কেও। কোভিড-আবহে যে-ভিড় ভয়-জাগানোই। অন্তত করোনার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কের মধ্যে যা নিয়ে উদ্বিগ্ন শহরের চিকিৎসকমহল।    

অন্যান্যবারের মতো এ বারেও পার্ক স্ট্রিট যথারীতি আলোয় সেজে উঠেছে। সেখানে ক্রিসমাস ইভে উপচে পড়েছেন উৎসবমাতোয়ারা মানুষ। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবং সকলেই যে সেই ভিড়ে কোভিড সুরক্ষাবিধি মেনেই পৌঁছেছেন, এমনও নয়। ২৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার ভালই ভিড় চোখে পড়েছে চিড়িয়াখানায়। শহরের বিভিন্ন অ্যামিউসমেন্ট পার্কেও ভিড় দেখা গিয়েছে।  

এ দিকে বিশ্ব জুড়ে করোনার নতুন স্ট্রেন আতঙ্কিত করছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে। বিভিন্ন মহাদেশে দেখা যাচ্ছে এই নতুন স্ট্রেনজনিত সংক্রমণ। এ নিয়ে কড়াকড়িও চলছে। কিন্তু সেই আবহে শহরকলকাতার বুকে ক্রিসমাসের এই ভিড় কপালে ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসকদের।  

কী বলছেন তাঁরা? 

এ শহরের এক বিশিষ্ট চিকিৎসক, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর (ইনচার্জ অফ মলিকুলার বায়োলজি) সুমন পোদ্দার এই ক্রিসমাসের ভিড় নিয়ে বলেন, 'মানুষের মধ্যে আসলে হঠাৎ করে একটা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এসে গিয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, অনেক তো হল, এ বার ক্রিসমাসে একটু আনন্দ করা যাক! করোনা সংক্রমণ, করোনা থেকে মৃত্যু এখন একটু দায়সারা হয়ে গিয়েছে তাঁদের কাছে। এই উল্লাসপ্রবণ উদাসীন মানুষ দু'ভাবে গৃহমুখী হতে পারেন। প্রথমত, যদি তাঁদের নিজেদের মধ্যে প্রাণভয় ফিরে আসে। আর যদি ল্য অ্যান্ড অর্ডার কড়া ভাবে কোভিড সুরক্ষাবিধি আরোপ করে এবং তা না মানলে মোটা জরিমানা নেয়।'

শহরের এক প্রথিতযশা চিকিৎসক ড. কুণাল সরকার বলেন, 'দুর্গাপুজোয় সত্যিই আমরা দারুণ সংযম দেখিয়েছিলাম। এবং তখনকার চেয়ে এখন কোভিড পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু তা বলে ক্রিসমাসের এই উদযাপন মেনে নেওয়া কঠিন। কেননা, এখনও কোভিড আছে। কেউ কেউ অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেন করেন ঠিকই।  তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা পলিটিক্যাল কমপালসন থাকে। তা-ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেকানিজমটা যদি যথারীতি হয়, তা হলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণ ঘটে। বেঙ্গালুরু-মুম্বই যেটা পারছে সেটা কলকাতায় কেন দেখলাম না! এটা বেশ হতাশাজনক!'  

Also Read: Christmas ইভে পর্তুগিজ চার্চে মুখ্যমন্ত্রী, অংশ নিলেন ক্যারোলে

.