ঋত্বিক ঘটকের ছবির দৃশ্য বিজেপির প্রচারে, আপত্তি পরিচালকের পরিবারের

নাগরিকপঞ্জি ঘিরে সমানতালে চলছে বিরোধীদের প্রচার।

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Updated By: Dec 24, 2019, 10:26 PM IST
ঋত্বিক ঘটকের ছবির দৃশ্য বিজেপির প্রচারে, আপত্তি পরিচালকের পরিবারের

নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশভাগ ও শরণার্থী সমস্যা নিয়ে গল্প বুনেছিল ঋত্বিক ঘটকের 'কোমলগান্ধার'। ওই ছবির একাধিক দৃশ্য ব্যবহার করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় নেমেছে বিজেপি। কিন্তু তা করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ল গেরুয়া শিবির। পরিচালকের পরিবারের সদস্য চিঠি দিয়ে সাফ জানালেন, সিএএ-র সমর্থনে তাঁর সমর্থনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।        

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পাল্টা আইনের পক্ষে সোমবার রোড শো করে বিজেপি। শরণার্থীদের পরিস্থিতি তুলে ধরতে ঋত্বিক ঘটকের কোমলগান্ধার ছবি অংশবিশেষ দিয়ে বিজ্ঞাপনও করছে দিলীপ ঘোষের দল। সেই খবর প্রকাশিত হয় জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালে। বিজেপির এমন উদ্যোগের নিন্দা করেছে পরিচালকের পরিবার। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,'এনআরসি ও সিএএ-র সমর্থনে ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র ও রাজনীতির অপব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাঁর চলচ্চিত্রের মূল নির্যাস বঞ্চিত মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা- বিশেষত সামাজিক ও রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের ফলে যাঁরা উদ্বাস্তু ও প্রান্তিক হয়েছেন তাঁদের জন্যে। তিনি আদ্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবতাবাদী ছিলেন। তাঁকে যাঁরা চিনতেন এবং তাঁর লেখা ও চলচ্চিত্রের সঙ্গে যাঁরাই পরিচিত, তাঁরাই তা জানেন। পরিপ্রেক্ষিতহীনভাবে তাঁর ছবির কোনও অংশ যে আইনের ফলে দেশের সাধারণ মানুষকে তাঁদের নাগরিক পরিচিতি নতুন করে প্রমাণ করা। এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অগণিত মানুষকে রাষ্ট্রপরিচয়বিহীন করে দেওয়ার সম্ভাবনা রাখে, কার সমর্থনে ব্যবহার করা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।'             

নাগরিকপঞ্জি ঘিরে সমানতালে চলছে বিরোধীদের প্রচার। সেই প্রচারকে ভোঁতা করতে জোরকদমে মাঠে নেমেছে রাজ্য বিজেপি। সোমবার ওয়েলিংটন থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত পদযাত্রা করে গেরুয়া শিবির। 

বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, ''ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল। ভারতের মুসলিমরা সমানাধিকার পেয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানে একটা সময় ২০ শতাংশ হিন্দু ছিলেন। তাঁরা কোথায় গেলেন? আফগানিস্তানে একসময় ৫০ হাজার শিখ ছিলেন। সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২০০০। বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রকাশ কারাট। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আইন আনার পর ভিন্নসুরে কথা বলছেন। মতুয়া সমাজের বড় মা বীণাপানি দেবীর আর্শীবাদ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতুয়াদের স্বার্থ দেখছেন না উনি।'' 

আরও পড়ুন- হিংসা থামাতে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন না ব্যবস্থা নেন? মমতাকে নিশানা নাড্ডার

.