ওয়েব ডেস্ক: ২২ ঘণ্টা ধরে ইন্টারভিউ নেওয়া কি শারীরিকভাবে আদৌ সম্ভব? সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। রাজ্যকে বিচারপতি নিশিথা মাত্রের তোপ, কোনও যুক্তিবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ কি এভাবে ইন্টারভিউ নিতে পারেন?  মামলার শুনানি শেষ। এবার রায়দানের অপেক্ষা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার প্রধান বিচারপতি নিশিথা মাত্রে। সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ মামলায় ফের হাইকোর্টে তোপের মুখে রাজ্য। সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে। এই অভিযোগে  হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সারেঙ্গা ও বারিকুলের ৯ পরীক্ষার্থী। অনিয়মের প্রমাণ মেলায় সারেঙ্গা ও বারিকুলে মোট ৩২০জন সিভিক ভলেন্টিয়ারের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু, সেখানেও তিরস্কৃত রাজ্য। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই তোপ  প্রধান বিচারপতি নিশিথা মাত্রের।  


রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন.. সারেঙ্গা ও বারিকুলে নিয়োগ না পেয়ে যে ৯জন সিভিক ভলেন্টিয়ার মামলা করেছেন, তারা আসলে কুত্‍সা রটাতে মামলাগুলি করেছেন। সারা রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগে কোনও দুর্নীতি ধরা পড়েনি। মামলাকারীরা অসফল হয়েছেন বলেই কুত্‍সা ছড়াচ্ছেন।


এরপরই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি নিশিথা মাত্রে। তিনি বলেন.. এটা কি আদৌ সম্ভব ৩০ সেকেন্ড থেকে ১-২ মিনিটের মধ্যে একেক জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া? ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢুকতে বেরোতেই তো ১০ সেকেন্ডের ওপর সময় লাগবে!  আর যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছেন, তাঁরাও ২২ ঘণ্টা ধরে ইন্টারভিউ নিয়েছেন বলছেন? কোনও যুক্তিবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ কি আদৌ এভাবে একটানা ইন্টারভিউ নিতে পারেন?


এত কীসের তাড়াহুড়ো? তারপরও এজি যুক্তি দেন... ইন্টারভিউতে কোথাও কোনও দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি। একজনকে ঠকিয়ে অন্য কাউকে চাকরিও দেওয়া হয়নি। দুপক্ষেরই সওয়াল-জবাব শেষ। এবার প্রতীক্ষা রায়ের। বিচারপতি নিশিথা মাত্রে ও তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরই ঠিক হবে এরাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারের ভবিষ্যত।