পুলিসি বয়ানের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে অসঙ্গতি
কিষেণজির মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে পুলিস মহলে। যৌথবাহিনীর অভিযানে অংশ নেওয়া অফিসারদের মধ্যেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া এবং গুলির লড়াই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন, তা বাস্তবের সঙ্গে মেলে না বলেই তাঁদের বক্তব্য।
কিষেণজির মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে পুলিস মহলে। যৌথবাহিনীর অভিযানে অংশ নেওয়া অফিসারদের মধ্যেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া এবং গুলির লড়াই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন, তা বাস্তবের সঙ্গে মেলে না বলেই তাঁদের বক্তব্য। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণের জন্য কিষেণজিকে তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। অথচ যৌথবাহিনী অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে অভিযান চালায়। মাইকে প্রচার করা হলে তার সঙ্গীদের মতো খুব সহজেই পালিয়ে যেতে পারত কিষেণজি। মাওবাদীরা প্রতিরোধ করতে হাজার রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কিষেণজির মৃত্যুর পর অভিযানে অংশ নেওয়া অফিসারদের বক্তব্য, মাত্র কুড়ি-পঁচিশ মিনিট গুলির লড়াই হয়। এই অল্প সময়ের মধ্যে হাজার রাউন্ড গুলি চালানো সম্ভব নয়। কিষেণজির মৃতদেহের পাশ থেকে যে দুটি একে ফরটি সেভেন উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে একটি ব্যবহার করা হয়নি। আর যেটি ব্যবহার করা হয়, তার থেকে সাতাশ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। কিষেণজির অন্য তিন সঙ্গী সুচিত্রা, সিপাই এবং হিরো--সবাই মিলে গুলি চালালেও এই সময়ের মধ্যে হাজার রাউন্ড গুলি চালানো সম্ভব ছিল না।