মহাকরণে কলেজের জিবি, ফের বিতর্কে সরকার
ফের বিতর্কে রাজ্য সরকার। এবার হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাকরণে কলেজের গভর্নিং বডির মিটিং করার অভিযোগ উঠল। আজ ক্রীড়া ও পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রর ঘরে ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের গভর্নিং বডির মিটিং হয়। এক্ষেত্রে কেন আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি ব্যস্ত থাকাতেই মিটিং হয়েছে মহাকরণে।
ফের বিতর্কে রাজ্য সরকার। এবার হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাকরণে কলেজের গভর্নিং বডির মিটিং করার অভিযোগ উঠল। আজ ক্রীড়া ও পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রর ঘরে ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের গভর্নিং বডির মিটিং হয়। এক্ষেত্রে কেন আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি ব্যস্ত থাকাতেই মিটিং হয়েছে মহাকরণে।
সাম্প্রতিককালে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে যে ধরনের নৈরাজ্য চলছে তাতে রীতিমতো চাপে রাজ্য সরকার। একাধিক স্কুলে ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঘেরাও করা হচ্ছে শিক্ষকশিক্ষিকাদের। বিভিন্ন কলেজে অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকদের মারধরের একাধিক ঘটনাও ঘটেছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আঙুল উঠেছে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিভিন্ন কলেজের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়েছে তাতেও আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ, কোনও কলেজের গভর্নিং বডির বৈঠক কলেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। যদিও শনিবার দুপুরে মহাকরণে দেখা গেল ঠিক তার উল্টো ছবি। নিজের ঘরে ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের গর্ভনিং বডির বৈঠক করলেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র।
প্রশ্ন উঠছে কলেজের মিটিং কলেজে না করে মহাকরণে কেন? গভর্নিং বডির এক সদস্যের বক্তব্য, ক্রীড়ামন্ত্রী ওই কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে মহাকরণে বৈঠক করতে আসা।
মদন মিত্রের অবশ্য দাবি, তিনি গভর্নিং বডির কোনও বৈঠক করেননি। কলেজের সমস্যা নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন কলেজের অধ্যক্ষা, গভর্নিং বডির সদস্য এবং কয়েকজন অধ্যাপিকা। ছিলেন বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও।
সম্প্রতি আদালতের একাধিক রায়ে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। তারপরও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মহাকরণে কলেজের গভর্নিং বডির বৈঠক করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী।