নিজস্ব প্রতিবেদন : সমস্ত রকম সরকারি নিয়ম মেনেই মায়ের শ্রাদ্ধের আয়োজন করেছিলেন মেয়েরা। কিন্তু বাধা দেন আবাসিকরা। অভিযোগ, চূড়ান্ত হেনস্থা করা হয় ৩ মেয়েকে। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন মেয়েরা। ঘটনাটি ঘটেছে উল্টোডাঙায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৭ এপ্রিল মৃত্যু হয় উল্টোডাঙার উপনিষদ হাউজিং কো-অপারেটিভের বাসিন্দা সন্ধ্যা প্রামাণিকের। বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল । এখন সন্ধ্যা প্রামাণিকের মেয়েরা চান, মায়ের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তাঁর শ্রাদ্ধ-শান্তির কাজ হাউজিংয়েই করতে। এদিকে করোনার সংক্রমণ রুখতে লকডাউন চলছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, এই সময়ে ৭ জনের বেশি কেউ এক জায়গায় থাকতে পারবেন না। সবরকম অনুষ্ঠান, জমায়েত এখন নিষিদ্ধ। একইসঙ্গে কোনও জরুরি অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।


হাউজিংয়ে মায়ের শ্রাদ্ধ কাজ করার জন্য তাই সরকারি নিয়ম মেনে মানিকতলা থানায় আবেদন জমা দেন সন্ধ্যা প্রামাণিকের ৩ মেয়ে। জানা গিয়েছে, বড় মেয়ে সুপর্ণা দত্ত পেশায় চিকিৎসক। মেজ মেয়ে রুনা রায় এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও ছোটো মেয়ে বিশেষভাবে সক্ষম। আগামী ১৭ তারিখ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের দিন স্থির হয়। অভিযোগ, এরপর আজ যখন ৩ মেয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ব্যবস্থা করার জন্য হাউজিংয়ে যান তখন তাঁদের হেনস্থা করা হয়। তাঁরা গিয়ে দেখেন, গেটে তালা দেওয়া। অকথ্য ভাষায় তাঁদের গালিগালাজ করেন আবাসিকরা।


বাধ্য হয়ে আজ ফের মানিকতলা থানার দ্বারস্থ হন মেয়েরা। তাঁদের হাউজিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসক সুপর্ণা দত্ত। শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মা সন্ধ্যা প্রামাণিকের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ফ্ল্যাটেই করবেন বলে স্পষ্ট জানান মেয়েরা। এদিকে আবাসিকরাও বাইরে থেকে কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেবেন না বলে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন। শেষে পুলিসি হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয়। স্থির হয় ১৭ তারিখ ২ ঘণ্টার জন্য হাউজিংয়ের ভিতর ঢুকতে পারবেন সন্ধ্যা প্রামাণিকের ৩ মেয়ে। অনুষ্ঠান মিটে যাওয়ার পর আবাসন স্যানিটাইজ করে দিতে হবে তাঁদের।


আরও পড়ুন, করোনা 'কেড়েছে' বাবা-মাকে! হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একা একাই খেলে যাচ্ছে সদ্যোজাত