জতুগৃহের দায় কার? দিনভর চাপানউতোর
কার গাফিলতিতে সূর্য সেন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড? আগুন নেভার আগেই শুরু হয়ে যায় দায় এড়ানোর পালা। দমকলমন্ত্রী, মেয়র, এলাকার বিধায়ক--সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের। তবু তাঁরাই একের অন্যের কাঁধে দায় ঠেলে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
কার গাফিলতিতে সূর্য সেন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড? আগুন নেভার আগেই শুরু হয়ে যায় দায় এড়ানোর পালা। দমকলমন্ত্রী, মেয়র, এলাকার বিধায়ক--সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের। তবু তাঁরাই একের অন্যের কাঁধে দায় ঠেলে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
শিয়লাদার সূর্য সেন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মৃতদেহের সারি। ঘটনাস্থলে এসে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণের ঘোষণা। কিন্তু দায়টা নেবেন কে? দমকলমন্ত্রী আঙুল তুলছেন মেয়রের দিকে। দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান অগ্নিকাণ্ডের জন্য বেআইনি নির্মাণকে দায়ী করে দোষ চাপিয়েছেন পুরসভার ঘাড়ে। অন্যদিকে মেয়রের মুখেও শোনা গেছে দায় এড়ানোর ভাষা। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটা করলেন এলাকার বিধায়ক শিখ মিত্র। তাঁর বক্তব্য, তাঁর এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতো ব্যবস্থা নিত তিনি পুরসভার কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু পুরসভা সেই চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি। অপরদিকে দমকল মন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁর দফতরকে জানানো উচিত ছিল।
এ সবের মধ্যেই আবার অগ্নি নির্বাপণ বিধি কার্যকর না হওয়ার জন্য পুরসভাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, এলাকার বিধায়ক, সাংসদ, বরো চেয়ারম্যান সকলেই তো তৃণমূলের। তবে কেন তাঁরা একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন? এ ভাবেই দিনভর চলল চাপানউতোর। বিরোধী কংগ্রেস আঙুল তুলল তৃণমূলের দিকে। আর গা বাঁচাতে তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের খেলায় মাতলেন ? সূর্য সেন মার্কেটের মতো ঘটনা আর যাতে না ঘটে, শাসকদলের কাছে সেই উদ্যোগ আশা করে শেষপর্যন্ত নিরাশই হতে হল শহরবাসীকে।