নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কে টলোমলো কলকাতার চর্মনগরী। মারণ ভাইরাসে বিধ্বস্ত চিন থেকে কাঁচা মাল না আসায় উত্‍পাদনে ভাটা বানতলায়।  বিদেশেও চামড়ার জিনিসের  চাহিদা কমতে থাকায়, সমস্যায় ব্যবসায়ীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স অর্থাত্‍ বানতলা চর্ম নগরীতে এই মুহূর্তে ট্যানারি বা চর্ম প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের সংখ্যা চারশো। এ ছাড়াও রয়েছে ষাটটি লেদার গুড ইউনিট বা চামড়ার বিভিন্ন উপকরণ তৈরির কারখানা। গোটা দেশের মোট চর্মশিল্প ক্ষেত্রের ৩৫ শতাংশ উত্পাদন এখান থেকে হয়। সরাসরি ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ এবং অনুসারি শিল্পমিলিয়ে দৈনিক দু শিফটে গড়ে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয় বানতলা লেদার কলপ্লেক্সে।


করোনা ভাইরাস এদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ যেসব কাঁচা মাল দিয়ে চামড়ার সামগ্রী তৈরি হয়, তার সিংহভাগ আসে চিন থেকে। যেগুলো আসা বর্তমানে বন্ধ। আবার তৈরি হওয়া সামগ্রী যেসব দেশে রফতানি হয়, তারমধ্যে অন্যতম ইরান এবং ইতালিতে চামড়ার জিনিস কেনার লোক নেই। তাহলে কি হবে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তিন লক্ষ মানুষের ভবিষ্যত? ভাবতে গিয়ে শিউড়ে উঠছেন এখানকার মানুষ।


আরও পড়ুন- করোনা আতঙ্কে বিদেশে যাচ্ছেন না মোদী, বাতিল করলেন ব্রাসেলস সফর


চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া মারণ ভাইরাস এখন মহামারি। কেবল চিনেই মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। ইরান এবং ইতালিতেও শুরু হয়েছে মৃত্যু মিছিল। এ অবস্থায় নজিরবিহীন ক্ষতির মুখে রাজ্যের চর্মশিল্প। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স বা বানতলা চর্ম নগরীতে উত্‍পাদনে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কারণ মারণ করোনায় আক্রান্ত চিন থেকে আঠা, রং, স্ক্রু, পেরেক, লেস এবং ব্যান্ডের মত জিনিস আসা বন্ধ। অন্যদিকে কলকাতা চর্ম নগরীতে তৈরি হওয়া সামগ্রীর বাজার নেই ইরান, ইতালি, জার্মানির মত দেশে। ফলে নভেল করোনার জোড়া ফলার মুখে পড়ে দিশেহারা রাজ্যের চর্মশিল্প।