নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সেইসঙ্গে সবাইকে হাতমুখ সাফ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। পাশাপাশি পিছিয়ে নেই পুরসভাও। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে জীবাণুনাশক দিয়ে স্যানিটাইজ করার কাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-লকডাউনে কমলো ভর্তুকিহীন গ্য়াসের দাম! মধ্যবিত্তের মুখে হাসি


বুধবার দমকলকর্মীরা জীবাণুনাশক স্প্রে করলেন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। করোনা নিয়ে তুলকালাম শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ওই রাস্তায় জীবাণুনাশক ছড়াল দমকল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির আসপাশ ও সামনের রাস্তা ও গলিতে জীবাণুনাশক ছড়ায় দমকলের কর্মীরা। টানা তিনিশ মিনিট ধরে চলে ওই কাজ। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছাকাছি রাস্তাতেও ছেটানো হয় স্যানিটাইজার।



এদিকে, বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''প্রথমেই অনুরোধ করব। লাফিয়ে লাফিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, এই খবর সম্প্রচার দয়া করে বন্ধ করুন। সরকারের থেকে ঘোষণা না নেওয়া পর্যন্ত চালাবেন না। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় পজিটিভ কেস ৩৭টা। তার মধ্যে ৩ জন ভালো হয়ে গিয়েছেন। মারা গিয়েছে ৩ জন। তার মধ্যে একজন নিউমোনিয়ায় মারা গিয়েছে। সকাল থেকে দেখাচ্ছেন আরও ৩ জন মারা গিয়েছে। আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। দীর্ঘদিন ধরে একজনের কিডনি ফেলিওর। মাসে দু'বার ডায়ালিসিস করত। যে যা ইচ্ছে বলে দিচ্ছে, কোনও প্রমাণ ছাড়াই।''


আরও পড়ুন-Live: রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ৩৭, দেশে মৃত ৩৮, বিশ্বে সাড়ে ৪৫ হাজার


ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''যে যা পারছে বলে দিচ্ছে। আজকে ৪ টে পর্যন্ত ৩৭টি ঘটনা সামনে এসেছে। পজিটিভ ৩১ জন। ৩ জন ভালো হয়ে গেছে ফিরে গিয়েছে। একটা নিউমোনিয়া কেস। পরিবারই বলেছে। ডাক্তাররা ট্রিটমেন্ট করার সুযোগ পায়নি। ৩১ জনের মধ্যে রয়েছেন আলিপুরের চিকিত্সকের পরিবারের ৫ জন। তেহট্টের একটি পরিবারের একজন আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের মোট ৫ জন খন আক্রান্ত। ৫-এ পাঁচ। মেদিনীপুরে ৩ জন। হল ১৩। কালিম্পঙে ৪ জন। কতজন হল? ১৭জন হল শুধু চারটে পরিবার। ৩১ জনের মধ্যে ১৭ জনই চারটে পরিবারের। এজন্য একটা বারবার বলা হচ্ছে, দূরত্ব বজায় রাখুন।''