রাজ্যে ফের মৃত্যু এক চিকিত্সকের, কারণ খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর
গত ১৭ এপ্রিল থেকে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। শেষপর্যন্ত আজ সন্ধেয় তাঁর লড়াই শেষ হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের এক স্বাস্থ্যকর্তার পর এবার মৃত্যু হল আরও এক চিকিত্সকের।
সোমবার সন্ধে আটটা নাগাদ সল্টলেক আমরি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই প্রবীণ চিকিত্সক(৬৯)। গত এক সপ্তাহে এনিয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় কোনও চিকিত্সকের মৃত্যু হল।
আরও পড়ুন-হাওড়া-উত্তর ২৪ পরগনা-পূর্ব মেদিনীপুরের রেড জোন ঘোষণা, দেখে নিন আপনার এলাকা পড়ছে কিনা
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ১৪ এপ্রিল করোনা সন্দেহে আমরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বেলভিউ হাসপাতালের বিশিষ্ট ওই অর্থোপেডিককে। শারীরিক অবস্থার অবণতি হওয়ায় গত ১৭ এপ্রিল থেকে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। শেষপর্যন্ত আজ সন্ধেয় তাঁর লড়াই শেষ হয়। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় রাজ্যের এক স্বাস্থ্যকর্তার। করোনা সন্দেহে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৌলালির সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। এই স্টোর থেকেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে করোনা রুখতে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট অর্থাৎ পিপিই , মাস্ক ,স্যানিটাইজার, গ্লাভস, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় ওষুধ জিনিসপত্র পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন-কলকাতার কোন এলাকা রেড জোন, মিলিয়ে নিন আপনি ওই এলাকায় থাকেন কিনা
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন ওই স্বাস্থ্যকর্তা। বেহালায় স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে চিকিত্সাধীন ছিলেন। জ্বর, শ্বাসকষ্ট বাড়ায় গত শুক্রবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে এই কারণেই মৃত্যু কিনা, তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।