'কেন্দ্র করোনা কিট-গাইডলাইন পাঠাচ্ছে না...দোকান-বাজার সব খোলা থাকবে'

সমস্ত হাসপাতালকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির নির্দেশ। স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমার সেই গ্রুপের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।  

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Mar 19, 2020, 06:16 PM IST
'কেন্দ্র করোনা কিট-গাইডলাইন পাঠাচ্ছে না...দোকান-বাজার সব খোলা থাকবে'

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনায় আরও একজনের মৃত্যু হল ভারতে। COVID-19 ভাইরাসে এদিন পঞ্জাবে মৃত্যু হয়েছে জার্মানি ফেরত ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের। দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ভারতে ১৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতি। আগামী ২ সপ্তাহ ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বার বারই সবাইকে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে, সতর্কতা বিধিগুলি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এদিন বিকালে নবান্ন সভাঘরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে ঠিকমতো সাহায্য মিলছে না বলে বৈঠকে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, ব্যবসায় লাভ না খুঁজে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন।

বৈঠকের সারকথা:

* আরজি করে ৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হবে।
* এখন ব্যবসা করার সময় নয়। সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।
* বেলেঘাটা আইডিতে চাপ বাড়ছে। সেখানে ১০০ বেড করা হবে।
* আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আগামী ২ সপ্তাহ শুধু আরও সতর্ক থাকতে হবে।
* সমস্ত হাসপাতালকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির নির্দেশ। স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমার সেই গ্রুপের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।
* ৩০০ ভেন্টিলেশন মেশিনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
* বাঙুর হাসপাতালে ১৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে।
* প্রয়োজনে সরকার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করবে।
* বেলেঘাটা আইডি-তে ১০টি ও অন্যান্য হাসপাতালে ৫টি করে অ্যাম্বুল্যান্স রাখুন।
* হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্স সহ সমস্ত কর্মীদের মাস্ক বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে। তাঁদের স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। 
* অনেকে গুজব রটিয়ে দিচ্ছেন, বাজারে জিনিস পাওয়া যাবে না। দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। দাম যাতে না বাড়ে, পুলিস নজর দিক। কালোবাজারি বরদাস্ত করা হবে না। 
* বাজার, দোকান খোলা থাকবে। জিনিসপত্রে টান পড়বে না।  সীমান্ত সিল হলেও যথেষ্ট পণ্য মজুত আছে। জিনিসের কোনও অভাব নেই।
* কেন্দ্রের থেকে প্রয়োজনীয় করোনা কিট এখনও রাজ্যে আসেনি। কেন্দ্র গাইডলাইন পাঠাচ্ছে না।
* ২ লাখ মাস্ক ও ৩০ হাজার গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
* থার্মাল গান ১০ হাজার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আরও ১০ হাজার অর্ডার দিতে হবে।
* চিকিৎসক, নার্সরা বিশেষ পোশাক পরবেন।
* মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আইসিডিএস কর্মীদের উদ্যোগী হতে নির্দেশ। 

আরও পড়ুন, করোনার সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের সব আধার কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

 

.