TMC Councillor Sushanta Ghosh: কসবার গন্ডগোলে নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের
সুশান্ত ঘোষ আরও বলেন, বেনিয়মের রাজত্ব চালু হয়ে গিয়েছিল। জলাজমি ভরাট, ভেরি ভরাট, চার-পাঁচতলা বেআইনি বাড়ি তোলা হত। আমি জেতার পর ওইসব কাজ কারবার বন্ধ করেছি
![TMC Councillor Sushanta Ghosh: কসবার গন্ডগোলে নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের TMC Councillor Sushanta Ghosh: কসবার গন্ডগোলে নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/06/05/377789-6.jpg)
মৌমিতা চক্রবর্তী: কসবায় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বারবার এটা করা হচ্ছে। আগেও আমাকে এভাবে জড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা হয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন কসবার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। শুধু তাই নয়, সুশান্ত ঘোষের আরও দাবি, তাঁকে ফাঁসাতে তাঁর বাড়ির নিচে অপরিচিত মহিলাদের বসিয়ে রাখা হতো। কসবার গন্ডগোলের পেছনে মন্ত্রী জাভেদ খানের ভূমিকা রয়েছে বলেও দাবি করলেন সুশান্ত ঘোষ?
কেন তিনি মন্ত্রীর রোষের শিকার? সুশান্ত ঘোষ বলেন, বারবার প্রচার করা হয়েছিল কসবার হামলা আমার ইন্ধনে হয়েছে। আমার লোকেরা এটা করেছে। আদৌ সেটা নয়। যারা ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে তাদের পরিচয় জানলেই বুঝতে পারবেন। তাঁরা কসবার যিনি এমএলএ ও রাজ্যের মন্ত্রী যিনি রয়েছেন তাঁর সঙ্গে থাকেন। লোকাল কাউন্সিলরের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ রয়েছে।
সুশান্ত ঘোষ আরও বলেন, বেনিয়মের রাজত্ব চালু হয়ে গিয়েছিল। জলাজমি ভরাট, ভেরি ভরাট, চার-পাঁচতলা বেআইনি বাড়ি তোলা হত। আমি জেতার পর ওইসব কাজ কারবার বন্ধ করেছি। তাই আমার উপরে আক্রোশ। তাই বারবার আমার বিরুদ্ধে এসব জিনিস হচ্ছে। দল জানে। পরশু দিনের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে বেরিয়েছে। তাতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। দলকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে রেখেছি। বারবার এসব হচ্ছে। আমরাও পরিবার নিয়ে এই অঞ্চলে থাকি। একটা বাড়িতে ঢিল পড়লে আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য়, ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে সুশান্ত ঘোষের সংঘাত নতুন কোনও বিষয় নয়। এই ওয়ার্ডেই থাকেন সুশান্ত ঘোষ। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের গন্ডগোলের ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি সুশান্তর। নাম না করে তিনি রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খানের দিকে আঙুল তুলেছেন। প্রমোটিং সহ একাধিক বেআইনি কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়ার জন্যই তাঁর সঙ্গে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মন্ত্রীর রোষে পড়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
এদিকে, এনিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, এনিয়ে কিছু বলার নেই। পুলিস আছে, প্রশাসন আছে। তারা তদন্ত করে দেখবে। এছাড়াও পার্টি আছে। সেখানে ও জানাক। পার্টি তদন্ত করে দেখবে। যদি অভিযোগ সত্যি হয়া তাহলে ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন-জলবায়ু পরিবর্তন দক্ষিণ এশিয়ায় ডেকে আনছে মহা বিপদ! কোন পথে পরিত্রাণ?